×
কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদাতের ‘ঈসালে সাওয়াব’ বা সাওয়াব পৌঁছানো সংশ্লিষ্ট তিনটি ফতোয়া: (১) জীবিত ব্যক্তির তিলাওয়াত বা ঈসালে সাওয়াব দ্বারা কি মৃত-ব্যক্তি উপকৃত হয় ? কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি করতেন ? (২) তিলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা কি বৈধ ? বিনিময়দাতা কি এ জন্য গুনাহগার হবে ? (৩) কুরআন অথবা অন্যান্য ইবাদাতের সাওয়াব কি মৃতদের নিকট পৌঁছে?

    কুরআন তিলাওয়াত বা অন্যান্য ইবাদাতের সাওয়াব কি মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছে?

    هل يصل ثواب قراءة القرآن وأنواع القربات إلى الميت؟

    < بنغالي- Bengal - বাঙালি>

    ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়ার স্থায়ী পরিষদ

    اللجنة الدائمة للبحوث العلمية والإفتاء

    —™

    অনুবাদক: সানাউল্লাহ নজির আহমদ

    সম্পাদক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    ترجمة: ثناء الله نذير أحمد

    مراجعة: د/ أبو بكر محمد زكريا

    কুরআন তিলাওয়াত বা অন্যান্য ইবাদাতের সাওয়াব কি মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছে?

    প্রথম ফাতওয়া

    প্রশ্ন: সূরা আল-ইখলাস পাঠ করে কেউ যদি মৃত ব্যক্তিকে ঈসালে সাওয়াব করে, তাহলে মৃত ব্যক্তি কি উপকৃত হবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কী করতেন, কবরবাসীর জন্য তিনি কী তিলাওয়াত করতেন, না শুধু দো'আ করতেন?

    উত্তর:

    প্রথমত: কেউ যদি কুরআন তিলাওয়াত করে মৃত ব্যক্তিকে ঈসালে সাওয়াব করে, আলেমদের বিশুদ্ধ মতানুযায়ী এ সাওয়াব মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছায় না। কারণ, এটা মৃত ব্যক্তির আমল নয়। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,

    ﴿وَأَن لَّيۡسَ لِلۡإِنسَٰنِ إِلَّا مَا سَعَىٰ ٣٩﴾ [النجم: ٣٩]

    “আর এই যে, মানুষ যা চেষ্টা করে, তাই সে পায়"[সূরা আন-নাজম, আয়াত: ৩৯]

    এ তিলাওয়াত জীবিত ব্যক্তির চেষ্টা বা আমল, এর সাওয়াব সে নিজেই পাবে, অন্য কাউকে সে ঈসালে সাওয়াব করার অধিকার রাখে না। এ সংক্রান্ত সৌদি আরবের “ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়ার স্থায়ী ওলামা পরিষদ" এর একটি বিস্তারিত ফাতওয়া রয়েছে, নিচে তা উল্লেখ করা হলো:

    প্রশ্ন: কবর জিয়ারতের সময় সূরা আল-ফাতেহা পাঠ করা অথবা কুরআনের কোনো অংশ পাঠ করা কি বৈধ, আর এর দ্বারা সে কি উপকৃত হবে?

    উত্তর: বিশুদ্ধ হাদীস থেকে প্রমাণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত করতেন এবং কিছু বাক্য দ্বারা তিনি কবরবাসীদের জন্য দো'আ করতেন, যা তিনি সাহাবীগণকে শিখিয়েছেন, তারাও তাঁর থেকে শিখে নিয়েছেন। যেমন,

    «السلام عليكم اهل الديار من المؤمنين والمسلمين، وانا ان شاء الله بكم لاحقون، نسال الله لنا ولكم العافية‏»

    “হে কবরবাসী মুমিন ও মুসলিমগণ, তোমাদের ওপর সালাম, ইনশাআল্লাহ অতিসত্বর আমরা তোমাদের সাথে মিলিত হবো, আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য ও তোমাদের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি।"[1]

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত করার সময় কুরআন বা তার কোনো আয়াত তিলাওয়াত করেছেন এমন কিছু প্রমাণিত নেই, অথচ তিনি খুব কবর যিয়ারত করতেন। যদি তা বৈধ হত বা মৃতরা তার দ্বারা উপকৃত হত, তাহলে অবশ্যই তিনি তা করতেন এবং সাহাবীগণকে নির্দেশ দিতেন। বরং নবুওয়াতের দায়িত্ব আদায়, উম্মতের প্রতি দয়া ও সাওয়াবের বিবেচনায় এটা তার কর্তব্য ছিল। কারণ, তার ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন:

    ﴿لَقَدۡ جَآءَكُمۡ رَسُولٞ مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ عَزِيزٌ عَلَيۡهِ مَا عَنِتُّمۡ حَرِيصٌ عَلَيۡكُم بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ رَءُوفٞ رَّحِيمٞ ١٢٨﴾ [التوبة: ١٢٨]

    “নিশ্চয় তোমাদের নিজেদের মধ্য থেকে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন, তা তার জন্য কষ্টদায়ক যা তোমাদেরকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু"[সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১২৮]

    অতএব, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মধ্যে দয়া, উম্মতের কল্যাণ কামনা ও অনুগ্রহ থাকা সত্বেও যেহেতু তিনি তা করেন নি, তাই প্রমাণ করে যে এটা না-জায়েয। সাহাবায়ে কেরাম তাই বুঝেছেন এবং এর ওপরই তারা আমল করেছেন, (আল্লাহ তাদের সকলের ওপর সন্তুষ্ট হোন) তারা কবর যিয়ারতের সময় মৃতদের জন্য দো'আ করতেন ও নিজেরা (মৃত্যু থেকে) উপদেশ ও শিক্ষা নিতেন। তারা মৃতদের জন্য কুরআন তিলাওয়াত করেন নি। তাই প্রমাণিত হলো যে, কবর যিয়ারতের সময় কুরআন তিলাওয়াত করা পরবর্তীতে আবিষ্কৃত বিদ'আত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

    «من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد»‏‏

    “আমাদের এ দীনে যে এমন কিছু আবিষ্কার করল, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, তা পরিত্যাক্ত।"[2]

    দ্বিতীয় ফাতওয়া: (প্রথম ফাতওয়ার অবশিষ্টাংশ)

    প্রশ্ন: আমরা কতক মুসলিম দেশে দেখি, কুরআন তিলাওয়াতের জন্য লোক ভাড়া করা হয়, কুরআন তিলাওয়াত করে বিনিময় গ্রহণ করা কি বৈধ? বিনিময় দাতা কি এ জন্য গোনাহগার হবে?

    উত্তর: কুরআন তিলাওয়াত একটি খালেস ইবাদাত। মুসলিমগণ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও সাওয়াবের আশায় তা সম্পাদন করবে, এসব ইবাদাতের মূল নীতিও তাই, এ জন্য কারো থেকে বিনিময় গ্রহণ বা কারো কৃতজ্ঞতা আদায় করা যাবে না। সালাফ তথা আমাদের আদর্শ মনীষীদের থেকে প্রমাণিত নয় যে, তারা মৃত ব্যক্তি, অলিমা অথবা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে কুরআন তিলাওয়াতের জন্য কাউকে ভাড়া করেছেন অথবা তারা এর নির্দেশ দিয়েছেন কিংবা এর অনুমতি প্রদান করেছেন অথবা তারা কেউ কুরআন তিলাওয়াত করে বিনিময় গ্রহণ করেছেন; বরং তারা আল্লাহর নিকট সাওয়াবের আশায় তিলাওয়াত করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন, “যে ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত করে, সে যেন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে।" তিনি মানুষের নিকট প্রার্থনা থেকে সতর্ক করেছেন। সাহাবী ইমরান ইবন হুসাইন থেকে ইমাম তিরমিযী তার সুনান গ্রন্থে বর্ণনা করেন:

    «أنه مر على قاص يقرأ ثم سأل؛ فاسترجع ثم قال‏:‏ سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول‏:‏ من قرأ القرآن فليسأل الله به، فإنه سيجيء أقوام يقرؤون القرآن يسألون به الناس»

    “ইমরান ইবন হুস়াইন এক গল্পকারের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন, যে তিলাওয়াত করে করে মানুষের নিকট চেয়ে বেড়াত। তিনি এ দৃশ্য থেকে ইন্নালিল্লাহ পড়লেন। অতঃপর বললেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শোনেছি: “যে ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত করে, সে যেন তার অসিলা দিয়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে। কারণ, অতিসত্বর এমন এক দল আবির্ভূত হবে, যারা কুরআন তিলাওয়াত করবে আর তার অসিলা দিয়ে মানুষের নিকট প্রার্থনা করবে"[3]

    তবে যেসব অবস্থায় তিলাওয়াতকারী ব্যতীত অপরের নিকটও কুরআনের উপকারিতা পৌঁছায়, সেসব অবস্থায় বিনিময় গ্রহণ করা বৈধ। যেমন, কুরআন শিক্ষা দেওয়া অথবা কুরআনের মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক করা ইত্যাদি। বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত, আবু সাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এক পাল বকরী গ্রহণ করেছিলেন সূরা আল-ফাতিহা দ্বারা এক ব্যক্তিকে ঝাড়-ফূঁক করে, যাকে বিষাক্ত কীট দংশন করেছিল। সাহল রাদিয়াল্লাহু 'আনহুর হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মেয়েকে জনৈক ব্যক্তির নিকট এ শর্তে বিয়ে দেন যে, সে তার নিকট রক্ষিত কুরআন মেয়েকে শিক্ষা দেবে।[4]

    অতএব, শুধু তিলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা অথবা তিলাওয়াতের জন্য কোনো দল ভাড়া করা আদর্শ মনীষীদের রীতি ও সুন্নতের খিলাফ।

    দ্বিতীয়ত: উপদেশ গ্রহণ ও আখেরাত স্মরণ করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত করতেন। তিনি নিজ পরিবারের মুসলিমদের জন্য দো'আ ও ইস্তেগফার করতেন, তাদের জন্য 'আফিয়াত তথা নিরাপত্তা প্রার্থনা করতেন। তিনি সাহাবীগণকে শিক্ষা দিতেন, যেন তারা কবর যিয়ারতের সময় বলে:

    «السلام عليكم اهل الديار من المؤمنين والمسلمين، وانا ان شاء الله بكم لاحقون، نسال الله لنا ولكم العافية‏»

    “হে কবরবাসী মুমিন ও মুসলিমগণ, তোমাদের ওপর সালাম, ইনশাআল্লাহ আমরা অতিসত্বর তোমাদের সাথে মিলিত হবো, আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য ও তোমাদের জন্য নিরাপত্তার প্রার্থনা করছি।"[5]

    আমাদের জানা মতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন তিলাওয়াত করে মৃত ব্যক্তিদের ঈসালে সাওয়াব করেন নি। অথচ তিনি অধিক কবর যিয়ারত করতেন। তিনি ছিলেন মুমিনদের ওপর দয়ালু ও মেহেরবান। আর আল্লাহই ভালো জানেন।

    সূত্র: اللجنة الدائمة للبحوث العلمية والافتاء

    তৃতীয় ফাতওয়া

    প্রশ্ন: কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদাতের সাওয়াব কি মৃতদের নিকট পৌঁছে? মৃত ব্যক্তির সন্তান বা যার পক্ষ থেকেই হোক?

    উত্তর: আমরা যতদূর জানি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন তিলাওয়াত করে নিকট আত্মীয় বা অন্য কোনো মৃত ব্যক্তির জন্য ঈসালে সাওয়াব করেন নি। তিলাওয়াতের সাওয়াব যদি মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছত বা এর দ্বারা সে কোনোভাবে উপকৃত হত, তাহলে অবশ্যই তিনি তা করতেন, উম্মতকে বাতলে দিতেন, যেন তাদের মৃতরা উপকৃত হয়। তিনি ছিলেন মুমিনদের ওপর দয়ালু ও অনুগ্রহশীল। তাঁর পরবর্তীতে খুলাফায়ে রাশেদীন ও সকল সাহাবায়ে কেরাম তার যথাযথ অনুসরণ করেছেন, (আল্লাহ তাদের সকলের ওপর সন্তুষ্ট হোন) আমাদের জানা মতে তারা কেউ কুরআন তিলাওয়াত করে ঈসালে সাওয়াব করেন নি। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীদের আদর্শ অনুসরণ করাই আমাদের জন্য কল্যাণ। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

    «اياكم ومحدثات الامور فان كل محدثة بدعة، وكل بدعة ضلالة‏»

    “খবরদার! তোমরা নতুন আবিষ্কৃত বস্তু থেকে সতর্ক থেকো, কারণ প্রত্যেক নতুন আবিষ্কৃত বস্তু বিদ'আত, আর প্রত্যেক বিদ'আত গোমরাহী ও পথভ্রষ্টতা।"[6]

    তিনি অন্যত্র বলেন:

    «من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد‏»

    “যে আমাদের এ দীনে এমন কিছু আবিষ্কার করল, যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা পরিত্যক্ত।"[7]

    তাই আমরা বলি, মৃতদের জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা বা করানো জায়েয নয়, এর সাওয়াব তাদের নিকট পৌঁছে না, বরং এটা বিদ'আত। এ ছাড়া যেসব ইবাদাতের সাওয়াব মৃতদের নিকট পৌঁছে মর্মে বিশুদ্ধ দলীল রয়েছে তা অবশ্য গ্রহণীয়। যেমন, মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকা ও হজ করা মর্মে বিশুদ্ধ দলীল রয়েছে। আর যে সব বিষয়ে কোনো দলীল নেই তা বৈধ নয়। তাই প্রমাণিত হলো, কুরআন তিলাওয়াত করে মৃতদের ঈসালে সাওয়াব করা বৈধ নয়, তাদের নিকট এর সাওয়াব পৌঁছায় না, বরং এটা বিদ'আত। এটাই আলেমদের বিশুদ্ধ অভিমত। আর আল্লাহই ভালো জানেন।

    সূত্র : اللجنة الدائمة للبحوث العلمية والافتاء

    সমাপ্ত

    [1] ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৫৩৬

    [2] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৫১২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩২৪৮

    [3] আহমদ: ৪/৪৩২Ñ৪৩৩, ৪৩৬Ñ৪৩৭, ৪৩৯, ৪৪৫; তিরমিযী: ৫/১৭৯, হাদীস নং ২৯১৭; ইবন আবি শায়বাহ: ১০/৪৮০; তাবরানী: ১৮/১৬৬Ñ১৬৭, হাদীস নং ৩৭০Ñ৩৭৪; বাগাভী: ৪/৪৪১, হাদীস নং ১১৮৩

    [4] আহমদ: ৫/৩৩৬; সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৩১০, ৫০২৯, ৫০৩০, ৫০৮৭, ৫১২১, ৫১২৬, ৫১৩২, ৫১৩৫, ৫১৪১, ৫৮৭১, ৭৪১৭

    [5] ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৫৩৬

    [6] আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৯৯৩

    [7] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৫১২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩২৪৮