এক ব্যক্তি নফল সিয়ামের দিন ফজরের পর কিছু পান করেছে, তার উপর কি কাফ্ফারা ওয়াজিব?
ক্যাটাগরিসমূহ
- নফল সাওম << রোযার বিধি-বিধান ও এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি সংক্রান্ত ফাইল << ইবাদাতের ফিকহ << ফিকহ ও এর নানা শাস্ত্র
- কাফফারা << রোযার বিধি-বিধান ও এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি সংক্রান্ত ফাইল << ইবাদাতের ফিকহ << ফিকহ ও এর নানা শাস্ত্র
- কাফফারাসমূহ << শপথ ও মান্নত << ফিকহ ও এর নানা শাস্ত্র
- অডিও, ভিডিও ও ফাতাওয়ার কিতাব << ফতোয়া << ফিকহ ও এর নানা শাস্ত্র
- ফতোয়া << ফিকহ ও এর নানা শাস্ত্র
Full Description
সম্পাদক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্রশ্ন: এক ব্যক্তি নফল সিয়ামের দিন ফজরের পর পান করেছে, তার ওপর কি কাফফারা ওয়াজিব? আমি প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার নফল সিয়াম পালন করি। এক রাতের ঘটনা, আমি সাহরী খেয়ে পানি পান না করেই ঘুমিয়ে পড়ি, ফজরের এক ঘণ্টা পর যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হই, তখন খুব পিপাসিত ছিলাম। অতঃপর আমি পানি পান করি এবং রাত পর্যন্ত সিয়াম পালন করি। অথচ আমার জানা ছিল যে, ফজরের পর এক ঘণ্টা হয়ে গেছে। এ সিয়াম কি শুদ্ধ না অশুদ্ধ? যদি শুদ্ধ না হয়, তাহলে আমার ওপর কি কাফফারা আছে?
উত্তর: আল-হামদুলিল্লাহ
সিয়াম শুদ্ধ হয় নি। কারণ, সিয়ামের জন্য ফজর উদিত হওয়া থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস জরুরি। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
﴿فَٱلۡـَٰٔنَ بَٰشِرُوهُنَّ وَٱبۡتَغُواْ مَا كَتَبَ ٱللَّهُ لَكُمۡۚ وَكُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ ٱلۡخَيۡطُ ٱلۡأَبۡيَضُ مِنَ ٱلۡخَيۡطِ ٱلۡأَسۡوَدِ مِنَ ٱلۡفَجۡرِۖ ثُمَّ أَتِمُّواْ ٱلصِّيَامَ إِلَى ٱلَّيۡلِۚ ﴾ [البقرة: ١٨٧]
“অতএব, এখন তোমরা তাদের সাথে মিলিত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন, তা অনুসন্ধান কর। আর আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কাল রেখা থেকে স্পষ্ট হয়। অতঃপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর।" [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৭]
অতএব, এ সিয়ামে আপনার কোনো প্রতিদান নেই, যেহেতু তা শরী'আত সম্মত হয় নি। এতে আপনার পাপও হয় নি। কারণ, নফল সিয়াম ভঙ্গ করা বৈধ। আর আপনার ওপর কাফফারাও নেই। যে স্বামী ও স্ত্রীর ওপর সিয়াম রাখা ফরয, রমযানের দিনে তাদের সহবাস ব্যতীত কোনো সিয়ামেই কাফফারা ওয়াজিব হয় না। এ অবস্থায় স্ত্রী যদি সম্মতি দেয়, তবে উভয়ের ওপরই কাফফারা ওয়াজিব হবে। আর সে কাফফারা হচ্ছে, একজন গোলাম আযাদ করা। যদি সম্ভব না হয়, তবে দু'মাস লাগাতার সিয়াম পালন করা। যদি সম্ভব না হয়, তবে ষাটজন মিসকীনকে খাদ্য দান করা। আর যদি স্বামী-স্ত্রীর ওপর সিয়াম ওয়াজিব না হয়, যেমন উভয়েই রমযানে মুসাফির থাকে, তবে সহবাসের ফলে তাদের কারো ওপরই কাফফারা ওয়াজিব হবে না। কারণ, মুসাফিরদের জন্য ইফতার করা হালাল। কিন্তু সফর থেকে ফিরার পর সেদিনের কাযা তাদের ওপর ওয়াজিব। যদি এমন হয় যে, তারা উভয়ে সফরে, যে সফরে ইফতার করা বৈধ, আর তাতে তারা সিয়াম অবস্থায় সহবাস করে, তবুও কোনো সমস্যা নেই এবং তাদের ওপর কোনো কাফফারাও নেই। তবে শুধু সেদিনের কাযা ওয়াজিব।
সূত্র: শাইখ মুহাম্মদ ইবন উসাইমীন
فتاوى نور على الدرب