হজের পর তানয়ীম, জিইররানা অথবা অন্য কোথাও থেকে ইহরাম বেঁধে এসে উমরা আদায় প্রসঙ্গ
ক্যাটাগরিসমূহ
Full Description
<!-- /* Font Definitions */ @font-face {font-family:SimSun; panose-1:2 1 6 0 3 1 1 1 1 1; mso-font-alt:宋体; mso-font-charset:134; mso-generic-font-family:auto; mso-font-pitch:variable; mso-font-signature:3 135135232 16 0 262145 0;} @font-face {font-family:Vrinda; panose-1:1 1 6 0 1 1 1 1 1 1; mso-font-charset:0; mso-generic-font-family:auto; mso-font-pitch:variable; mso-font-signature:65539 0 0 0 1 0;} @font-face {font-family:SolaimanLipi; panose-1:2 0 5 0 2 0 0 2 0 4; mso-font-charset:0; mso-generic-font-family:auto; mso-font-pitch:variable; mso-font-signature:-2147385341 0 0 0 1 0;} @font-face {font-family:"@SimSun"; panose-1:2 1 6 0 3 1 1 1 1 1; mso-font-charset:134; mso-generic-font-family:auto; mso-font-pitch:variable; mso-font-signature:3 135135232 16 0 262145 0;} /* Style Definitions */ p.MsoNormal, li.MsoNormal, div.MsoNormal {mso-style-parent:""; margin:0in; margin-bottom:.0001pt; mso-pagination:widow-orphan; font-size:19.0pt; font-family:"Courier New"; mso-fareast-font-family:SimSun; mso-bidi-font-family:"Times New Roman"; color:maroon;} @page Section1 {size:8.5in 11.0in; margin:1.0in 1.25in 1.0in 1.25in; mso-header-margin:.5in; mso-footer-margin:.5in; mso-paper-source:0;} div.Section1 {page:Section1;} -->
প্রশ্ন:
হজ শেষ করে তানয়ীম থেকে ইহরাম বেঁধে এসে উমরা আদায় করা কী সুন্নত?
উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ
শায়খ বিন বায রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন:
হাজীদের অনেকে হজ আদায়ের পর তানয়ীম অথবা জিইররানা অথবা অন্য কোথাও থেকে ইহরাম বেঁধে এসে বেশি-বেশি উমরা আদায়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে অথচ হজের পূর্বে উমরা আদায় করেছে, এরূপ আচরণের পক্ষে শরয়ী কোনো প্রমাণ নেই। শরয়ী দলিল-প্রমাণের অবস্থান বরং এর বিপক্ষে। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবিবৃন্দ হজ থেকে ফারেগ হওয়ার পর উমরা আদায় করেন নি। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার হজের পর উমরা আদায় বিষয়ক যে ঘটনাটি রয়েছে তার কারণ তিনি হায়েযের কারণে অন্যান্যদের সাথে মক্কায় প্রবেশের সময় উমরা আদায় করতে পারেন নি। ফলে তিনি মিকাত থেকে যে উমরার নিয়ত করেছিলেন, তার পরিবর্তে একটি উমরা আদায় বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুমতি প্রার্থনা করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে অনুমতি দেন। অতঃপর তাঁর দুটি উমরা অর্জিত হয়: একটি হজের সাথে যুক্ত উমরা, অপরটি হজপরবর্তী একক উমরা। তাই যে ব্যক্তি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার মতো হবে, সে হজের পর উমরা আদায় করতে পারবে। এরূপ করায় এ বিষয়ক দলিলগুলো অনুযায়ী আমল হবে এবং মুসলমানদের জন্যও উদারতাও প্রদর্শন হবে।
আর এটা নিঃসন্দেহ যে, মক্কায় প্রবেশের সময় হাজীরা যে উমরা আদায় করে থাকে, তা ব্যতীত হজের পর অতিরিক্ত উমরা আদায় করতে যাওয়া সবার পক্ষেই কষ্টকর। উপরন্তু এরূপ কর্ম ভীড় ও এক্সিডেন্ট বেড়ে যাওয়ার কারণ হবে বৈ-কি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ও আদর্শের সাথে সংঘর্ষের বিষয়টিতো আছেই।
ইবনে বায ফতোয়াসমগ্র (৪৬/১৬)