কষ্টসাধ্য কাজে জড়িত ব্যক্তির রোজার বিধান-২
এ আইটেমটি নিম্নোক্ত ভাষায় অনূদিত
ক্যাটাগরিসমূহ
Full Description
কষ্টসাধ্য কাজে জড়িত ব্যক্তির সাওমের বিধান-২
حكم صوم من يعمل عملا شاقاً
< بنغالي >
ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয় স্থায়ী কমিটি
اللجنة الدائمة للبحوث العلمي والإفتاء
অনুবাদক: জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
সম্পাদক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
ترجمة: ذاكر الله أبو الخير
مراجعة: د/ أبو بكر محمد زكريا
কষ্টসাধ্য কাজে জড়িত ব্যক্তির সাওমের বিধান-২
প্রশ্ন: যে ব্যক্তি চাষাবাদ করে এবং রমযান মাসে তার ক্ষেতের ফসল কাটার সময় হয়, এখন সাওম রেখে যদি তার কাজ করা সম্ভব না হয়, তাহলে তার জন্য সাওমের বিধান রহিত হবে কিনা?
উত্তর: রমযানের সাওম ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুকন। সকল মুসলিমর ওপর সাওম ফরয। এ বিষয়ে উম্মতের ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
﴿فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَۗ ﴾ [البقرة: ١٨٥]
“তোমাদের মধ্যে যে এ মাসটি পাবে সে যেন সাওম রাখে, আর যে তোমাদের মধ্যে অসুস্থ অথবা সফরে আছে সে অন্য সময় পুরণ করে নেবে"। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৫]
সুতরাং প্রতিটি মুসলিমের উচিত রমযানে সাওম রাখার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা। কোনো প্রকার শর'ঈ ওযর ব্যতিত সাওম কোনোক্রমেই ত্যাগ করা উচিত নয়। আর প্রশ্নে বর্ণিত কৃষি কাজের বিষয়টি সম্পূর্ণ তার মালিকের নিয়ন্ত্রণে। সে ইচ্ছা করলে ফসল কাটার ক্ষেত্রে এদিক সেদিক করতে পারে। অর্থাৎ অন্য কাউকে দিয়ে কাটাতে পারে অথবা কিছু দিন অপেক্ষা করতে পারে। অথবা রাতেও কাটতে পারে। সুতরাং তার জন্য সাওম না রাখার বিষয়টি যুক্তিযুক্ত নয়। তাই এটাকে শর'ঈ কোনো ওযর বলা ঠিক হবে না। এ কারণে বলা যায়, এ ধরনের ব্যক্তির ওপর সাওম রাখা ফরয। যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার জন্য কোনো উপায় অবশ্যই বের করে দেবেন।
সমাপ্ত