খাদ্য ও পানীয় বিষয়ে ইসলামের বিধি-বিধান
ক্যাটাগরিসমূহ
Full Description
খাদ্য ও পানীয় বিষয়ে ইসলামের বিধি-বিধান
أحكام الأطعمة والأشربة في الإسلام
< بنغالي >
মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম ইবন আব্দুল্লাহ আত-তুইজিরী
محمد بن إبراهيم بن عبد الله التويجري
অনুবাদক: সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
ترجمة: ثناء الله نذير أحمد
مراجعة: د/أبو بكر محمد زكريا
খাদ্য ও পানীয় বিষয়ে ইসলামের বিধি-বিধান
পানাহারের বিধান: যেসব খাদ্য, পানীয় বা পোশাক-আশাকের মধ্যে আত্মা বা শরীরের উপকারিতা রয়েছে, আল্লাহ তা হালাল করে দিয়েছেন। যাতে বান্দা এর দ্বারা শক্তি সঞ্চয় করে তার ইবাদতে ব্রতী হতে সক্ষম হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ كُلُواْ مِمَّا فِي ٱلۡأَرۡضِ حَلَٰلٗا طَيِّبٗا وَلَا تَتَّبِعُواْ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيۡطَٰنِۚ إِنَّهُۥ لَكُمۡ عَدُوّٞ مُّبِينٌ ١٦٨ ﴾ [البقرة: ١٦٨]
“হে মানুষ, জমিনে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৬৮]
* যেসব বস্তুর মধ্যে ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে অথবা যার মধ্যে ক্ষতির চেয়ে উপকারের বিষয়টি খুবই গৌণ, আল্লাহ তা হারাম করে দিয়েছেন।
মুদ্দাকথা: আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক বস্তু থেকে পবিত্র জিনিসগুলো হালাল করে দিয়েছেন আর অপবিত্র জিনিসগুলো করেছেন হারাম। যেমন আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বলেন,
﴿وَيُحِلُّ لَهُمُ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيۡهِمُ ٱلۡخَبَٰٓئِثَ﴾ [الاعراف: ١٥٧]
“সে তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে আর অপবিত্র বস্তু হারাম করে।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৫৭]
খাদ্যের প্রভাব: মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল, আর এ খাদ্যের প্রভাবই তার স্বভাব ও চরিত্রের ওপর বিশেষভাবে ক্রিয়াশীল হয়। পবিত্র খাদ্য আহার করলে মানুষের ওপর ভালো প্রভাব পড়ে আর অপবিত্র খাদ্য আহার করলে মানুষের ওপর তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ জন্যই আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতিকে পবিত্র খাদ্য গ্রহণ করার নিদের্শ দিয়েছেন, বারণ করেছেন অপবিত্র খাদ্য থেকে।
খাদ্য ও পানীয়ের স্বভাব: মূলত খাদ্য ও পানীয় পবিত্র ও হালাল, যদি তাতে কোনো ক্ষতিকর উপাদান না থাকে। যেমন, গোশত, শষ্য, ফল, মধু, দুধ, খেজুর ও এ জাতীয় অন্যান্য হালাল খাদ্য।
নাপাক খাদ্য ও পানীয় হারাম। যেমন, মৃত জানোয়ার, প্রবাহিত রক্ত এবং সেসব বস্তু যার মধ্যে কোনো উপকার নেই, যেমন বিষ, মদ, খড়কুটা, মাদকদ্রব্য, তামাক ইত্যাদি। কারণ, এগুলো অপবিত্র, এতে রয়েছে শরীরের ক্ষতি, সম্পদের অপচয় ও বিবেকের বিলুপ্তি।
কেউ কিছু খেতে বললে করণীয়:
১. কোন মুসলিম কিছু খেতে বললে বা কারো বাড়িতে মেহমান হলে, মেজবান যা পরিবেশন করে তা খেয়ে নেওয়াই হচ্ছে সুন্নত। তদ্রূপ কোন পানীয় পেশ করলে তা পান করে নেওয়াই হচ্ছে সুন্নত -এ ব্যাপারে তাকে কোনো প্রশ্ন না করা।
২. হ্যাঁ, যারা লোক দেখানো, প্রশংসা কুড়ানো ও অহমিকা প্রদর্শন করার জন্য মেহমানদারী করছে, তাদের দাওয়াত গ্রহণ না করা এবং তাদের খাদ্য না খাওয়াই শ্রেয়।
খেজুরের ফযীলত: সব চেয়ে উত্তম খাদ্য হচ্ছে খেজুর। যে ঘরে খেজুর নেই সে ঘরের লোকজন ক্ষুধার্ত। খেজুর বিষ ও জাদু থেকে প্রতিরক্ষার কাজ করে। আর সব চেয়ে উত্তম খেজুর মদিনার খেজুর, বিশেষ করে আজওয়া খেজুর।
সা‘দ ইবন আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি সকাল বেলা সাতটি খেজুর খায় সারাদিন তাকে বিষ কিংবা জাদু কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
খেজুরের উপকারিতা: খেজুর যকৃৎ শক্তিশালী করে, প্রকৃতিতে কোমলতা আনে ও প্রেসার কমায়। খেজুর অন্যান্য ফলের তুলনায় শরীরে সব চেয়ে বেশি খাদ্য সরবরাহ করে। খেজুরে মিষ্টি জাতীয় কোনো উপাদান মিশানোর প্রয়োজন নেই, সে নিজেই মিষ্ট, খেজুর মুখের জীবাণু ধ্বংস করে। খেজুর একই সাথে ফল, খাদ্য, ওষুধ ও মিষ্টান্নের কাজ করে[1]।
যেসব প্রাণী খাওয়া হারাম, তা নাপাক, তবে তিন প্রকার প্রাণী খাওয়া হারাম হলেও পাক। যেমন,
১. মানুষ।
২. যেসব পোকামাকড়ের প্রবাহিত রক্ত নেই, তবে নাপাক বস্তু থেকে সৃষ্ট পোকামাকড় নাপাক, যেমন আরসোলা ইত্যাদি। এগুলো জীবিত অথবা মৃত উভয় অবস্থাতেই নাপাক।
৩. যেসব প্রাণী থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা খুব কঠিন তা পাক। যেমন বিড়াল, গাধা, তবে কুকুর নাপাক।
হারাম পশু ও পাখি:
: ইসলামী শরী‘আত কর্তৃক হারাম কৃত চতুষ্পদ জন্তু। যেমন গৃহপালিত গাধা ও শূকর।
: ইসলামী শরী‘আত কর্তৃক হারামকৃত পাখ-পাখালি ও হিংস্র প্রাণী। যেমন চিড়ে-ফেড়ে ভক্ষণকারী পশু ও পাঞ্জা দিয়ে শিকারকারী পাখি।
: সাধারণত যেসব প্রাণী নাপাক। যেমন ইদুর ও কীটপতঙ্গ।
: সাময়িক ভাবে নাপাক প্রাণীও সাময়িক ভাবে হারাম। যেমন সদ্য নাপাক ভক্ষণকারী মুরগি।
: ইসলাম যেসব প্রাণী হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছে। যেমন, সাপ, বিচ্ছু।
: ইসলাম কর্তৃক নিষিদ্ধ প্রাণী। যেমন, হুদহুদ, ব্যঙ্গ, পিঁপড়া ও মধুমাক্ষি ইত্যাদি।
: মৃত জন্তু খেতে অভ্যস্ত পাখি। যেমন, ঈগল, শকুন ও কাক।
: হালাল-হারাম উভয় প্রকার পশুর মিলনে জন্মা প্রাণী। যেমন, খচ্ছর। মাদি গোড়া ও নর গাধার মিলনের ফলে যার জন্ম।
: মৃত পশু বা আল্লাহর নাম ব্যতীত অন্য নামে জবেহ কৃত জানায়োর। এ সব প্রাণী হারাম, এগুলোর গোশত নাপাক।
বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ প্রাণী:
দাঁত দিয়ে শিকারকারী পশু হারাম। যেমন, বাঘ-সিংহ, নেকড়ে বাঘ, চিতা বাঘ, হাতি, কুকুর, শিয়াল, শূকর, বিড়াল, কুমীর, কচ্ছপ, শজারু ও বানর ইত্যাদি।
হারাম পাখপাখালি:
নখ দিয়ে শিকারকারী পাখি হারাম। যেমন, ঈগল, শ্যান, বাজ, শাহীন পাখি, পেঁচা ইত্যাদি। মৃত জীব জন্তু ও পশুমল ভক্ষণকারী পাখি হারাম। যেমন, শকুন, কাক, বাজপাখি, হুদহুদ ও দোয়েল ইত্যাদি।
হালাল পশু ও প্রাণী:
১. উল্লিখিত জীবজন্তু বা যেসব জীবজন্তুর স্বভাব প্রকৃতি উল্লিখিত জীবজন্তুর ন্যায় তা ব্যতীত স্থলের সব চতুষ্পদ জন্তু হালাল। যেমন, উট, গরু, বকরি। তদ্রুপ জঙ্গলী গাধা, ঘোড়া, ষাণ্ডা, জঙ্গলী গরু, হরিণ, খরগোশ, জিরাফ; তবে দাঁত দিয়ে শিকারকারী জঙ্গলী জানোয়ার হারাম।
২. উল্লিখিত পাখপাখালী বা তার ন্যায় অন্যান্য পাখ-পাখালী ব্যতীত সব পাখিই হালাল। যেমন, মুরগি, হাস, রাজহাঁস, কবুতর, উটপাখি, চড়ুই, বুলবুল, ময়ূর, ঘুঘু ইত্যাদি।
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁত দিয়ে শিকারকারী হিংস্র পশু ও নখ দিয়ে শিকারকারী হিংস্র পাখি খেতে নিষেধ করেছেন।” (মুসলিম)
৩. সমুদ্রে বাস করে ছোট বড় সব প্রাণীই হালাল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿أُحِلَّ لَكُمۡ صَيۡدُ ٱلۡبَحۡرِ وَطَعَامُهُ﴾ [المائدة: ٩٦]
“তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে সমুদ্রের শিকার ও তার খাদ্য।” [সূরা আল-মায়েদা, আায়াত: ৯৬]
হারাম খাদ্য: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَا تَأۡكُلُواْ مِمَّا لَمۡ يُذۡكَرِ ٱسۡمُ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ وَإِنَّهُۥ لَفِسۡقٞۗ وَإِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰٓ أَوۡلِيَآئِهِمۡ لِيُجَٰدِلُوكُمۡۖ وَإِنۡ أَطَعۡتُمُوهُمۡ إِنَّكُمۡ لَمُشۡرِكُونَ ١٢١ ﴾ [الانعام: ١٢١]
“আর তোমরা তা থেকে আহার করো না, যার ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়নি এবং নিশ্চয় তা সীমালঙ্গন।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১২১]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
﴿حُرِّمَتۡ عَلَيۡكُمُ ٱلۡمَيۡتَةُ وَٱلدَّمُ وَلَحۡمُ ٱلۡخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ لِغَيۡرِ ٱللَّهِ بِهِۦ وَٱلۡمُنۡخَنِقَةُ وَٱلۡمَوۡقُوذَةُ وَٱلۡمُتَرَدِّيَةُ وَٱلنَّطِيحَةُ وَمَآ أَكَلَ ٱلسَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيۡتُمۡ وَمَا ذُبِحَ عَلَى ٱلنُّصُبِ وَأَن تَسۡتَقۡسِمُواْ بِٱلۡأَزۡلَٰمِۚ ذَٰلِكُمۡ فِسۡقٌۗ ٱلۡيَوۡمَ يَئِسَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِن دِينِكُمۡ فَلَا تَخۡشَوۡهُمۡ وَٱخۡشَوۡنِۚ ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗاۚ فَمَنِ ٱضۡطُرَّ فِي مَخۡمَصَةٍ غَيۡرَ مُتَجَانِفٖ لِّإِثۡمٖ ﴾ [المائدة: ٣]
“তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত প্রাণী, রক্ত ও শূকরের গোশত এবং যা আল্লাহ ভিন্ন কারো নামে যবেহ করা হয়েছে, গলা চিপে মারা জন্তু, প্রহারে মরা জন্তু, উঁচু থেকে পড়ে মরা জন্তু, অন্য প্রাণীর শিঙের আঘাতে মরা জন্তু এবং যে জন্তুকে, হিংস্র প্রাণী খেয়েছে, তবে যা তোমরা যবেহ করে নিয়েছ তা ছাড়া, আর যা মূর্তি পূজার বেদিতে বলি দেওয়া হয়েছে এবং জুয়ার তীর দ্বারা বণ্টন করা হয়, এগুলো গুনাহ।” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৩]
জীবিত প্রাণী থেকে আলাদা করা গোশত হারাম, তা মৃত প্রাণীর ন্যায়।
হালাল মৃত প্রাণী ও রক্ত:
দু’প্রকার মৃত প্রাণী ও প্রবাহিত রক্ত ব্যতীত, সব মৃত প্রাণী ও রক্ত হারাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আমাদের জন্য দু'প্রকার মৃত প্রাণী ও দু'প্রকার রক্ত হালাল করা হয়েছে :
(ক) মৃত প্রাণী : মাছ ও পঙ্গপাল বা টিড্ডি। (খ) রক্ত। কলিজা ও প্লীহা। (আহমদ, সিলসিলা সহীহা ও ইবন মাজাহ)
খানার সঙ্গে তৈল মিশানোর বিধান:
জয়তুন বা অন্যান্য তৈল যা উদ্ভিত থেকে সংগৃহিত, খাদ্য-মিষ্টিদ্রব্য বা এ জাতীয় কোনো কিছুর সঙ্গে মিশানো বৈধ ও হালাল। যতক্ষণ-না তা কোনো নাপাক জিনিসের সঙ্গে মিশ্রিত হয়। হ্যাঁ, যেসব তৈল হারাম জানোয়ার থেকে নেওয়া। যেমন, শূকর বা মৃত প্রাণী, তা হারাম।
হালাল প্রাণীর তৈল তখনই হালাল, যখন তা শরী‘আতসম্মতভাবে যবেহ করা হয় ও তার মধ্যে কোনো নাপাক বস্তুর মিশ্রণ না ঘটে।
নাপাক বস্তু খেতে অভ্যস্ত প্রাণীর বিধান:
যেসব পশু বা পাখির অধিকাংশ খাদ্যই নাপাক, তার ওপর আরোহন করা, তার গোস্ত খাওয়া, তার দুধ পান করা ও ডিম খাওয়া নিষেধ; হ্যাঁ, তা আবদ্ধ করে রাখার পর, যখন হালাল খাদ্য খেতে অভ্যস্ত হয় এবং ধারণা হয় যে, তার গোশত পাক হয়েছে, তখনই তা হালাল।
হারাম খাদ্য কখন বৈধ:
যে ব্যক্তি এমন খাদ্য সঙ্কটে পতিত হল যে হারাম না খেলে মারা যাবে, তার জন্য জীবিত থাকার পরিমাণ হারাম খাদ্য গ্রহণ করা বৈধ, যদি তা বিষ না হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيۡكُمُ ٱلۡمَيۡتَةَ وَٱلدَّمَ وَلَحۡمَ ٱلۡخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ بِهِۦ لِغَيۡرِ ٱللَّهِۖ فَمَنِ ٱضۡطُرَّ غَيۡرَ بَاغٖ وَلَا عَادٖ فَلَآ إِثۡمَ عَلَيۡهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٌ ١٧٣ ﴾ [البقرة: ١٧٣]
“নিশ্চয় তিনি তোমাদের ওপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশত এবং যা গায়রুল্লাহর নামে যবেহ করা হয়েছে। সুতরাং যে বাধ্য হবে, অবাধ্য বা সীমালঙ্গনকারী না হয়ে, তাহলে তার কোনো পাপ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৭৩]
মদের বিধান: (১) ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “প্রত্যেক নেশা দ্রব্যই মাদক, আর প্রত্যেক নেশা দ্রব্যই হারাম।” (সহীহ মুসলিম)
(২) ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং কিয়ামত দিবসের ওপর ঈমান রাখে, সে যেন কখনই সে দস্তরখানে না বসে, যাতে মাদক পরিবেশন করা হয়।” (সহীহ সূত্রে আহমদ ও তিরমিযী)
মাদকদ্রব্য গ্রহণকারীর শাস্তি: ১. ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “প্রত্যেক নেশাদ্রব্য মাদক আর প্রত্যেক নেশাদ্রব্য হারাম। যে ব্যক্তি দুনিয়ায় মদ পান করে অতঃপর সে তওবা না করে মারা যায়, পরকালে সে মদ পান করতে পারবে না।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
২. জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “প্রত্যেক নেশাদ্রব্য হারাম। আল্লাহ তা‘আলার ওয়াদা, যে ব্যক্তি নেশাদ্রব্য পান করবে, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তিনাতুল খাবাল পান করাবেন। তারা জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসূল, তিনাতুল খাবাল কী? তিনি বললেন, জাহান্নামীদের ঘাম অথবা জাহান্নামীদের পূঁজ।” (সহীহ মুসলিম)
মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও অভিশপ্ত:
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাদকের ব্যাপারে দশ ব্যক্তিকে অভিসম্পাত করেছেন: যার মাদক তৈরি করার পেশা বা যে নিজের জন্য মাদক তৈরি করে, যে মাদক পান করে, যে বহন করে ও যার জন্য বহন করা হয়, যে পরিবেশন করে, যে মাদক বিক্রি করে, যে মাদকের মূল্য খায়, যে মাদক ক্রয় করে ও যার জন্য ক্রয় করা হয়।” (তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
খেজুর, কিসমিস অথবা এ জাতীয় কোনো কিছু ভেজানো পানি পান করা বৈধ। এ পানির নাম নাবীয। পানিতে মিষ্টি স্বাদ অথবা পানির লবণাক্ততা দূর করার জন্য নাবিয বানানো হয়। কিন্তু যদি তা ফুটানো হয় কিংবা তিন দিনের বেশি রাখা হয়, তবে তা হারাম।
অন্যের সম্পদ ভক্ষণ করার বিধান: ক্ষুধার্ত ব্যক্তি যদি কোনো ফলবান বাগান দিয়ে যায় অথবা এমন বাগান দিয়ে যায় যার ফল নিচে পড়ে আছে, যার চারপাশে কোনো দেয়াল নেই বা তা দেখাশোনার কোনো মালি নেই, সে বাগানের ফল খাওয়া তার জন্য বৈধ, তবে বহন করে কিছু নিয়ে যেতে পারবে না। যদি নিয়ে যায় তবে তাকে মূল্য ফেরত দিতে হবে এবং এর শাস্তিও ভোগ করতে হবে।
হারাম পাত্রে পানাহার করার বিধান: স্বর্ণ, রূপা অথবা সোনা-রূপা দিয়ে প্রলেপ দেওয়া পাত্রে পানাহার করা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য হারাম। সে শরীর জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যে হারাম ভক্ষণ করেছে এবং তার দো‘আও কবুল হবে না।
কোনো পাত্রে মাছি পড়ে গেলে করণীয়: আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমাদের কারো পাত্রে মাছি পড়ে গেলে তার উচিত পুরো মাছিই ডুবিয়ে দেওয়া অতঃপর তা বাইরে ফেলে দেওয়া, কারণ তার এক পাখায় রয়েছে রোগ ও অন্য পাখায় রয়েছে প্রতিষেধক।” (সহীহ বুখারী)
পশু যবেহ করা: হালাল জন্তু বা প্রাণী খাওয়ার পদ্ধতি হচ্ছে যবেহ করে বা নহর করে খাওয়া। অর্থাৎ নির্দিষ্ট নিয়মে খাদ্যনালী ও ঘারের দুপাশের রগ কেটে ফেলা।
যবেহ করার পদ্ধতি:
উটের ব্যপারে সুন্নত হচ্ছে বাঁ হাত বেঁধে দাঁড়ানো অবস্থায় ধারালো ছুরি দিয়ে গর্দান ও বুকের মাঝখানে আঘাত করা, এটাকে বলা হয় নহর। গরু, বকরির ব্যাপারে সুন্নত হচ্ছে বাম পাশে শোয়াইয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে যবেহ করা। মনে রাখা প্রয়োজন যে, জীবজন্তু তীর ধনুকের নিশানা বানানো হারাম।
গর্ভবতী প্রাণীর যবেহ দ্বারা পেটের বাচ্চারও যবেহ হয়ে যায়; হ্যাঁ, পেটের বাচ্চা যদি জীবিত বের হয়ে আসে, তবে তাকেও যবেহ করা জরুরি।
যবেহ শুদ্ধ হওয়ার শর্তাবলী:
১. যবেহকারীকে যবেহকরার উপযুক্ত হওয়া। অর্থাৎ যবেহকারী পুরুষ কিংবা নারীকে বুদ্ধিমান, মুসলিম বা আহলে কিতাবের কেউ হতে হবে। অতএব নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি, পাগল ও আহলে কিতাব ব্যতীত অন্যান্য কাফেরদের যবেহ হারাম।
২. ধারালো অস্ত্র দিয়ে যবেহ করা, অতএব দাঁত বা নখ দিয়ে যবেহ করা পশু হারাম।
৩. খাদ্য নালী ও দু’পাশের রগ কাটার মাধ্যমে রক্ত প্রবাহিত করা।
৪. যবেহ করার সময় বিসমিল্লাহ বলা। বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে কোনো সমস্যা নেই, তবে ইচ্ছাকৃতভাবে বিসমিল্লাহ ত্যাগ করলে পশু হালাল হবে না।
৫. শিকার বা শিকারীর ব্যাপারে আল্লাহ কর্তৃক কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকা। যেমন হারাম শরীফে শিকার না করা কিংবা ইহরাম অবস্থায় শিকার না করা।
মৃত প্রাণীর বিভিন্ন প্রকার: গলা চাপার কারণে, মাথায় আঘাতের কারণে, বিদ্যুতের শর্টের কারণে, গরম পানিতে ডুবিয়ে দেওয়ার কারণে অথবা অন্য কোনো গ্যাসের কারণে যেসব প্রাণী মারা যায় তা খাওয়া হারাম। কারণ, এমতাবস্থায় রক্ত গোশতের সঙ্গে মিশে যায়, যা মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দ্বিতীয়ত এ পশুর রুহ সুন্নতের বিপরীত পদ্ধতিতে বের করা হয়েছে, তাই এগুলো মৃত প্রাণীর ন্যায়।
আহলে কিতাবিদের যবেহকৃত গোশতের বিধান:
১. আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদী, নাসারাদের যবেহ-করা গোশত হালাল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ٱلۡيَوۡمَ أُحِلَّ لَكُمُ ٱلطَّيِّبَٰتُۖ وَطَعَامُ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ حِلّٞ لَّكُمۡ وَطَعَامُكُمۡ حِلّٞ لَّهُمۡۖ ﴾ [المائدة: ٥]
“আজ তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো সব হালাল বস্তু এবং যাদেরকে কিতাব প্রদান করা হয়েছে, তাদের খাবার তোমাদের জন্য বৈধ এবং তোমাদের খাবার তাদের জন্য বৈধ।” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৫]
২. যদি জানা যায় যে, আহলে কিতাব বৈধ পন্থায় যবেহ করে নি; বরং গলা চেপে কিংবা বৈদ্যুতিক শর্টের মাধ্যমে হত্যা করেছে, তবে তা খাওয়া হালাল নয়। অবশ্য তাদের ব্যতীত অন্য কাফেরদের গোশত কোনো অবস্থায় খাওয়া হালাল নয়।
আহলে কিতাবদের যবেহ-করা গোশত মুসলিম কখন খাবে:
আহলে কিতাব যদি আল্লাহর নাম নিয়ে পশু যবেহ করে, তবে তা হালাল, অন্যথায় তা হারাম। আর যদি কিছু জানা না যায় তবুও হালাল। যবেহ করার পদ্ধতির ব্যাপারে প্রশ্ন করা জরুরী নয়; বরং প্রশ্ন না করাই ভালো।
হালাল পশু যবেহ করা ব্যতীত শুদ্ধ নয়, তবে পতেঙ্গা ও মাছ এর ব্যতিক্রম। আবার যেসব প্রাণী শুধু পানিতে বাস করে তাও যবেহ ছাড়া হালাল।
শিকারী খাওয়ার বিধান: স্থলের পশু ও পাখি হালাল হওয়ার জন্য দু’টি শর্ত:
(ক) যবেহ করা ও (খ) আল্লাহর নাম নেওয়া।
কারো জন্য পশু যবেহ করা:
মৃত ব্যক্তিকে সওয়াব পৌঁছানোর জন্য পশু যবেহ করা এবং তার গোশত সদকা করাতে কোনো সমস্যা নেই। হ্যাঁ, এর দ্বারা যদি মৃত ব্যক্তির নৈকট্য অর্জন করা উদ্দেশ্য হয়, তাহলে এটা হবে বড় শির্ক এবং তা খাওয়াও হারাম।
সুন্দরভাবে হত্যা বা যবেহ করা:
১. ধারালো ছুরি দিয়ে যবেহ করা, এক পশুর সামনে অপর পশু যবেহ না করা, পশু সামনে রেখে ছুরি ধার না দেওয়া এবং রুহ বের না হওয়া পর্যন্ত ঘাড় না ভাঙা, চামড়া না ছিলা ও তার কোনো অংশ না কাটা।
সাদ্দাদ ইবন আউস বলেন, আমি দু’টি জিনিস রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুখস্থ করেছি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক বস্তুর ব্যাপারে ইহসান নির্ধারিত করে দিয়েছেন, তোমরা যখন হত্যা করবে, তখন সুন্দরভাবে হত্যা করবে আর যখন তোমরা যবেহ করবে, তখন সুন্দরভাবে যবেহ করবে, তোমাদের উচিত ছুরি ধার দিয়ে নেয়া এবং পশু নিস্তেজ হতে দেওয়া।” (সহীহ মুসলিম)
২. যবেহ করার সময় পশু কেবলামুখি করে নেয়া ও বিসমিল্লার সঙ্গে আল্লাহু আকবার মিলিয়ে পড়া। (আবু দাউদ ও তিরমিযী)
শিকার: কারো মালিকানা ব্যতীত জঙ্গলী কোনো জানোয়ার ইচ্ছাকৃতভাবে শিকার করা।
শিকার করার হুকুম: শিকার করা বৈধ এবং শিকার করা পশু হালাল, তবে হারাম শরিফে শিকার করা হারাম, তদ্রুপ যে ইহরাম অবস্থায় রয়েছে, তার জন্যও স্থলের পশু শিকার করা হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿أُحِلَّ لَكُمۡ صَيۡدُ ٱلۡبَحۡرِ وَطَعَامُهُۥ مَتَٰعٗا لَّكُمۡ وَلِلسَّيَّارَةِۖ وَحُرِّمَ عَلَيۡكُمۡ صَيۡدُ ٱلۡبَرِّ مَا دُمۡتُمۡ حُرُمٗاۗ ﴾ [المائدة: ٩٦]
“তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে সমুদ্রের শিকার ও তার খাদ্য, তোমাদের ও মুসাফিরদের ভোগের জন্য। আর স্থলের শিকার তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে যতক্ষণ তোমরা ইহরাম অবস্থায় থাক।” [সূরা আল-মায়েদা: ৯৬]
শিকারের বিভিন্ন অবস্থা: শিকারকৃত পশু হস্তগত করার দু’টি অবস্থা। যেমন,
১. পূর্ণ জীবিত অবস্থায় ধরা। এ প্রকার শিকার নির্ধারিত পদ্ধতিতে যবেহ করা জরুরী।
২. মৃত অবস্থায় ধরা অথবা সামান্য জীবিত অবস্থায় ধরা। এ প্রকার শিকার হালাল হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। নিম্নে তা তুলে ধরা হল:
হালাল শিকারের শর্তসমূহ:
১. শিকারী ব্যক্তির মুসলিম বা আহলে কিতাব হওয়া এবং সাবালক বা তার কাছাকাছি বয়সের হওয়া।
২. শিকার করা পশুর যবেহ দু’প্রকার :
ক. দাঁত ও নখ ব্যতীত ধারালো অস্ত্র দিয়ে যবেহ করা।
খ. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিকারী কুকুর বা শিকারী পাখির জখম করে ফেলা। যেমন, কুকুর ও বাজপাখি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হলে শিকার হালাল হবে না।
৩. শিকারী কুকুর বা পাখি শিকারের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা।
৪. তীর নিক্ষেপ করার সময় বা শিকারী প্রাণী প্রেরণ করার সময় বিসমিল্লাহ বলা। বিসমিল্লাহ ভুলে গেলে সমস্যা নেই। তবে ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দিলে শিকার হালাল হবে না।
৫. শিকারের জন্য উপযুক্ত স্থান ও উপযুক্ত ব্যক্তি হওয়া। কারণ, ইহরাম অবস্থায় শিকার করা হারাম, তদ্রূপ হারামে এলাকায় শিকার করাও হারাম।
কুকুর পোষ্য বানানোর বিধান:
কুকুর পোষ্য বানানো হারাম। যেহেতু কুকুর মানুষের ভীতিগ্রস্ত করে এবং এর কারণে ফিরিশতারা ঘরে প্রবেশ করে না, এর মধ্যে নাপাকি ও নোংরামি তো রয়েছেই, উপরন্তু কুকুর পোষ্যকারীর সওয়াব প্রতিদিন দুই কিরাত করে কমে যায়। হ্যাঁ, কেউ যদি শিকারের জন্য, চড়ানোর জন্য অথবা ক্ষেত পাহারা দেওয়ার প্রয়োজনে কুকুর পোষ্য বানায় তার কথা ভিন্ন।
কুকুর কোনো শিকার করলে অথবা কোনো শিকার তার মুখে আটকে রাখলে, তা সাত বার ধোয়া জরুরি নয়; কারণ মানুষের সুবিধার জন্যই কুকুরের শিকার বৈধ করা হয়েছে।
যদি কোনো ব্যক্তি লাঠি বা এ জাতীয় কিছুর দ্বারা শিকার করে আর ধারালো দিক যদি শিকারের গায়ে আঘাত করে, তবে তা হালাল, অন্যথায় হালাল নয়, ধরে নেওয়া হবে তা আঘাতের কারণে মারা গেছে।
শিকার নিয়ে খেলা করা: খেলতামাশার জন্য শিকার করা ও ছেড়ে দেওয়া এবং তার দ্বারা কোনোভাবে উপকৃত না হওয়া হারাম।
শিকারের সময় অথবা যবেহ করার সময় রুহ বের হওয়ার পূর্বে পশু থেকে যে রক্ত বের হয় তা নাপাক, এর দ্বারা উপকৃত হওয়া হারাম।
লুণ্ঠিত অথবা চুরিকৃত অস্ত্র দিয়ে শিকার করা হালাল কিন্তু শিকারকারী গুনাহগার হবে।
সালাত ত্যাগকারীর শিকার বা যবেহ করা পশু হালাল নয়, কারণ সে কাফের।
পাখি দ্বারা বাচ্চাদের শান্ত্বনা দেওয়ার বিধান:
বাচ্চাদের শান্ত্বনা দেওয়ার জন্য পাখি শিকার করা বৈধ; কিন্তু বাচ্চাদের দেখে রাখতে হবে, যাতে সে শিকারকে কোনো কষ্ট না দেয় কিংবা ক্ষুধার্ত না রাখে।
নিরাপরাধ ব্যক্তির দিকে অস্ত্র তাক করা বা অস্ত্র দিয়ে তার দিকে ইশারা করা মসকরা বা সত্যি সত্যি উভয় অবস্থাতেই হারাম।
সমাপ্ত
[1] নিয়ম হচ্ছে, পুরানো খেজুর বেছে খাওয়া এবং কীটদুষ্ট অংশ ফেলে দেওয়া।