×
নারী ও পুরুষদের মাহরাম অর্থাৎ যাদের সহিত বিবাহ বন্ধন হারাম এবং দেখা-সাক্ষাৎ জায়েয। এই রকম নারী ও পুরুষ কারা? আলোচ্য প্রবন্ধে ধারাবাহিকভাবে তা উল্লেখ করা হলো।

নারী ও পুরুষদের মাহরাম

এ.কিউ.এম মাসূম মজুমদার

সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

المحرمات في النكاح

(باللغة البنغالية)

أقيوم معصوم مجموعه دار

مراجعة: د/ أبو بكر محمد زكريا

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা.............

নারী ও পুরুষদের মাহরাম অর্থাৎ যাদের সহিত বিবাহ বন্ধন হারাম এবং দেখা-সাক্ষাৎ জায়েয। এই রকম নারী ও পুরুষ কারা? আলোচ্য প্রবন্ধে ধারাবাহিকভাবে তা উল্লেখ করা হলো।

নারী ও পুরুষদের মাহরাম

 সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের জন্য। আর দুরূদ ও সালাম নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর এবং তাঁর বংশধর ও সাহাবীগণের ওপর।

 নারী ও পুরুষদের মাহরাম [যাদের একে অপরের সহিত বিবাহ বন্ধন হারাম এবং তাদের পরস্পরের সাথে সাক্ষাৎ জায়েয] এই মাহরামগণ ব্যতীত অন্যদের সহিত দেখা-সাক্ষাৎ, আড্ডা বা বাইরে-ভ্রমনে বের হওয়া হারাম, তবে খুবই ‘যরুরত’ (প্রয়োজন) হলে কোনো বিকল্প উপায় না থাকলে তাদের সাথে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কথা বলতে হবে।

 ‘মাহরাম’ শব্দের শাব্দিক অর্থ: যারা হারাম, এটা হালাল এর বিপরীত। আর শরী‘আতের পরিভাষায় ‘মাহরাম’ বলা হয় নিম্নেবর্ণিত তিন শ্রেণিকে:

ক) الْمُحَرَّمَاتُ بِسَبَبِ النَّسَبِ (বংশগত/ঔরসজাত সম্পর্কের কারণে মাহরাম)

 খ) الْمُحَرَّمَاتُ بِسَبَبِ الْمُصَاهَرَةُ (বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে মাহরাম)

 গ) الْمُحَرَّمَاتُ بِسَبَبِ الرَّضَاعُ (দুধ-পানের কারণে হারাম)

 দ্র: ফিকহী বিশ্বকোষ, কুয়েত (৩৬/২১৪) ও লিসানুল আরব ৩খ, পৃ: ১৩৯, ফাতাওয়ায়ে শামী, ২খ, পৃ: ১৪৫)। এরা ছাড়া বাকী সবাই “গায়রে মাহরাম” (মাহরাম নহে)। এর অর্থ হলো, ‘গায়রে মাহরামে’র সাথে বৈবাহিক বন্ধন হতে পারে। তাই বৈবাহিক বন্ধনের আগে তাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হারাম, তবে বিবাহ করার জন্য কনে দেখা জায়েয আছে।

 বংশগত ও ঔরসজাত সম্পর্কের কারণে যে সব নারীদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া হারাম তা দু’ প্রকারের:

 ১ম প্রকার: যে সব নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া চিরদিনের জন্য হারাম।

 ২য় প্রকার: যে সব নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া সাময়িকভাবে হারাম (চিরদিনের জন্য নয়)

 ১ম প্রকারের মাহরাম: যে সব নারীদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া চিরদিনের জন্য হারাম:

 তিন ধরনের সম্পর্ককে ইসলামি শরী‘আত মাহরাম হওয়ার কারণ সাব্যস্ত করেছে:

 (ক) বংশগত/ঔরসজাত সম্পর্কের কারণে

 (খ) বৈবাহিক সম্পর্কজনিত কারণে এবং

 (গ) দুধপানজনিত হারাম

 ক) বংশগত/ঔরসজাত সম্পর্কের কারণে যে সব মাহরাম নারীদেরকে বিবাহ করা পুরুষদের জন্য চিরস্থায়ীভাবে হারাম তারা হচ্ছেন:

 ১- নানী, দাদী, দাদীর মা এবং তাঁর পরবর্তী উর্ধ্বতন মহিলা বংশধররা। প্রমাণ: [সূরা আন-নিসার ২৩ নং আয়াত]

 ২- মেয়ে, ছেলের মেয়ে এবং মেয়ের মেয়ে, ছেলের মেয়ের মেয়ে এবং তদনিম্ন ঔরসজাত পরবর্তী মেয়ে সন্তানরা। প্রমাণ: [সূরা আন-নিসার ২৩ নং আয়াত]

 ৩- বোন, আপন সহোদর বোন অথবা বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় বোন। প্রমাণ: [সূরা আন-নিসার ২৩ নং আয়াত]

 ৪- আপন সহোদর বোনের মেয়ে অথবা বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে অথবা বোনের ছেলের মেয়ে এবং তদনিম্ন মেয়ে সন্তানরা। আর বোনের মেয়ের মেয়ে এবং তদনিম্ন মেয়েদের ঔরসজাত পরবর্তী মেয়ে সন্তানরা। প্রমাণ: [সূরা আন-নিসার ২৩ নং আয়াত]

 ৫- আপন সহোদর ভাইয়ের মেয়ে অথবা বৈমাত্রেয়, বা বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে এবং ভাইয়ের মেয়ের মেয়ে, ভাইয়ের ছেলের মেয়ে, ভাইয়ের ছেলের মেয়ের মেয়ে এবং তদনিম্ন মেয়েদের ঔরসজাত পরবর্তী মেয়ে সন্তানরা। প্রমাণ: [সূরা আন-নিসার ২৩ নং আয়াত]

 ৬- ফুফু, যিনি আপনার আব্বার সহোদর বোন অথবা বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় বোন এবং বাবার ফুফু অথবা মায়ের ফুফু। প্রমাণ: [সূরা আন-নিসার ২৩ নং আয়াত]

 ৭- খালা, যিনি আপনার আম্মার সহোদর বোন অথবা বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় বোন এবং আপনার আব্বার খালা অথবা শুধু আম্মার দিক হতে খালা। প্রমাণ: [সূরা আন-নিসার ২৩ নং আয়াত]

 খ) বৈবাহিক সম্পর্কজনিত মাহরাম:

 বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে যে সব মাহরাম নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া চিরস্থায়ীভাবে হারাম। এরা হচ্ছেন:

 ১- আপনার শাশুড়ী, নানী শাশুড়ী, দাদী শাশুড়ী এবং তদূর্ধ্ব উর্ধ্বতন মহিলাগণ। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ২৩]

 ২- আপনার স্ত্রীর অন্য ঘরের (অর্থাৎ ঔরসজাত) মেয়ে, (যদি এই স্ত্রীর সাথে সহবাস করা হয়, তাহলে এই মেয়েকে বিবাহ করা হারাম)[সূরা আন-নিসা, আয়াত: ২৩]

 ৩- সৎ মা (আব্বার আরেক স্ত্রী), দাদার আরেক স্ত্রী এবং তদূর্ধ্ব উর্ধ্বতন মহিলারা। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ২২]

 ৪- ছেলের বউ। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ২৩]

 ৫- লি‘আনকারীনী (লি‘আনের (অভিশাপের) মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদকারীনী স্ত্রী) তার লি‘আনকারী স্বামীর জন্য চিরদিনের জন্য হারাম। (সুনান আবূ দাঊদ, নং ২২৫০)(হাদীসটি সাহীহ -আলবানী)

 হানাফী মাযহাব মতে, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে যিনা বা হারাম যৌন মিলন করে অথবা তার তাকে কুমতলবে স্পর্শ করে অথবা অন্য এমন কিছু করে যা যিনার মতো হারাম কাজ, তাহলে এই যিনাকারীর জন্য চিরদিনের জন্য হারাম হলো এই নারীর মা অথবা বোনকে বিবাহ করা। তবে শুধু হারাম যৌন মিলন করলে হাম্বলী মাযহাবেরও এটাই অভিমত। আর যদি স্পর্শ বা অন্য কোনো প্রকার হারাম কাজ করে, কিন্তু যৌন মিলন না করে, তবে হারাম হবে না। (দ্র: কুয়েত থেকে প্রকাশিত ফিকহী বিশ্বকোষ: ৩৬/২১৪)

 গ) দুধপানজনিত হারাম:

 দুধপানজনিত মাহরাম ও বংশগত/ঔরসজাত মাহরামের ন্যায় ৭ প্রকার হতে পারে, যার বিবরণ উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব, বর্ণিত সকল আত্মীয়ই দুধপানজনিত কারণে হারাম হবে এবং নারী হলে পুরুষ আত্মীয়গণ তার ‘মাহরাম’ হিসেবে গণ্য হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “বংশগত কারণে যারা হারাম দুগ্ধপানজনিত কারণেও তারা হারাম হবে।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)। অর্থাৎ বংশগত কারণে যারা হারাম দুধপানজনিত কারণেও তারা হারাম হবে।

 সুতরাং জন্মদাতা হিসেবে পিতা যেমন হারাম, তেমনি কোনো নারী কাউকে নিজের স্তন্যপান করালে তার স্বামী ঐ দুধপানকারী মেয়ের জন্য দুধপিতা হিসেবে হারাম। মাহরাম হওয়ার কারণে এদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ, মুখোমুখি কাথা-বার্তা এবং একসাথে নিয়ে সফরে বের হওয়া সম্পূর্ণই জায়েয।

 আর চাচাতো বোন, ফুফাতো বোন, খালাতো বোন, মামাতো বোন এই চার প্রকারের আত্মীয়কে বিবাহ করা জায়েয আছে।

 ২য় প্রকারের মাহরাম: যে সব নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া সাময়িকভাবে হারাম (চিরকালের জন্য নয়) এরা হচ্ছেন:

 ১- দু বোনকে অথবা কোনো মেয়েকে এবং মেয়ের ফুফুকে বা খালাকেও বিবাহ করা হারাম, তবে যদি মেয়েটি (স্ত্রী) মারা যায় অথবা স্বামী তালাক (বিচ্ছেদ) দিয়ে দেয়, তাহলে ঐ মেয়ের বোনকে অথবা তার ফুফু বা খালাকে (যে কোনো একজনকে) বিবাহ করতে পারবে।

 ২- যে নারী শরী‘আত নির্দেশিত ‘ইদ্দত পালনরত আছে তাকে বিবাহ করা হারাম; তবে তার ‘ইদ্দত পালন শেষ হলে বিবাহ করতে পারবেন।

 ৩- তিন তালাকপ্রাপ্তা নারী তার স্বামীর জন্য হারাম। তবে সে নারী যদি আবার বিয়ে করে এবং ২য় স্বামী তাকে তালাক দেয়, তাহলেই সে আগের স্বামীর ঘরে ফিরে আসতে পারবে।

 ৪- হজ ও উমরাহর ইহরাম পরা নারী। হজ বা উমরাহর কাজ আদায় করার পর বিবাহ করতে পারবে, এর আগে নয়।

 ৫- অন্যের স্ত্রী আপনার জন্য হারাম।

 ৬- যিনাকারী নারী তার সাথে যিনাকারী পুরুষটির জন্য হারাম। তবে তারা পরস্পর বিবাহ করতে চাইলে:

 (ক) খাঁটি অন্তরে, খালেছভাবে আল্লাহর দরবারে কেঁদে কেঁদে তওবা করতে হবে, আর তাদের আচার–আচরণে তা প্রকাশ পেতে হবে, তাহলেই বুঝা যাবে যে, তারা খাটি ও খালেসভাবে তাওবা করেছে। এরপরই কেবল তাদের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয আাছে, না হয় জায়েয নেই ।

 (খ) আর তা হতে হবে এক হায়েযের পর, মহিলাটির রেহেম পবিত্র হওয়ার পরে। আর যদি যিনার কারণে গর্ভবতী হয়ে যায় তবে, মেয়েটি সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। যিনা বা (নারী-পুরুষের হারাম যৌনমিলন) কবিরা গুনাহ, আর মিথ্যা প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে সাধুবেশে দুঃশ্চরিত্রবান ও নষ্ট ছেলে কোনো কোনো অবলা মেয়েদের সাথে হারাম অবৈধ মিলন করে কেটে পড়ে, এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে মেয়েটির যার সাথে বিবাহ হবে তার হক নষ্ট করা হয়। ইসলামী শরী‘আত যিনাকারী ও যিনাকারীনীর আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক কঠিন শাস্তির হুমকি দিয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীসে সে শাস্তির কিছু বর্ণনা উল্লেখ করেছেন: “আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের একটি চুল্লিতে ব্যভিচারী নর-নারীকে উলঙ্গ অবস্থায় একত্রিত করবেন। সেখানে জাহান্নামের আগুন দ্বারা তাদেরকে পোড়ানো হবে। তাদের সেখানে বিকট শব্দ শুনা যাবে।” (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৮৬, ২/১০০)

 নারীদের মাহরামদের নিকট তাদের পর্দা কেমন হবে?

 উপরে বর্ণিত নারীদের মাহরাম যেমন, আব্বা, ভাই ও ভাইয়ের ছেলে, তাদের সামনে নারীরা পুরো শরীর ঢেকে রাখবে, তবে যা এমনিতেই প্রকাশ পায় যেমন, চেহারা, মাথা, কনুইসহ দু‘হাত, দু পায়ের পাতা এগুলো ব্যতীত। শাইখ ইবন বায বলেন: “বর্তমান যুগের অবস্থায় মানুষের দীন-ঈমান দুর্বল, আল্লাহর ভয় কম, হারাম কাজের প্রসার বেশি, তাই নারীরা তাদের মাহরামের সামনে মাথা ঢেকে রাখা বেশি নিরাপদ ও উত্তম এবং এর দ্বারা ফিতনা থেকে বেঁচে থাকা যায়। আর পাশাপাশি নারীরা যেন তাদের নিজস্ব নিরাপত্তার কৌশল ও পদ্ধতি অবলম্বন করে লাজ-লজ্জা বজায় রেখে চলাফেরা করে।” আর তারা তাদের পায়ের নালা ও হাতের বাহু ঢেকে রাখবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

 ﴿وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَاۖ وَلۡيَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّۖ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوۡ ءَابَآئِهِنَّ أَوۡ ءَابَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوۡ أَبۡنَآئِهِنَّ أَوۡ أَبۡنَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوۡ إِخۡوَٰنِهِنَّ أَوۡ بَنِيٓ إِخۡوَٰنِهِنَّ أَوۡ بَنِيٓ أَخَوَٰتِهِنَّ أَوۡ نِسَآئِهِنَّ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُنَّ أَوِ ٱلتَّٰبِعِينَ غَيۡرِ أُوْلِي ٱلۡإِرۡبَةِ مِنَ ٱلرِّجَالِ أَوِ ٱلطِّفۡلِ ٱلَّذِينَ لَمۡ يَظۡهَرُواْ عَلَىٰ عَوۡرَٰتِ ٱلنِّسَآءِۖ وَلَا يَضۡرِبۡنَ بِأَرۡجُلِهِنَّ لِيُعۡلَمَ مَا يُخۡفِينَ مِن زِينَتِهِنَّۚ﴾ [النور: ٣١]

 “আর যা সাধারণত প্রকাশ পায়, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপনাঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা-চলাফেরা না করে”[সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩১]

 মহান আল্লাহর উত্তম নামসমূহ এবং সর্বোচ্চ গুণাবলীর উসীলায় দো‘আ করি, তিনি যেন এ ‘আমল তাঁরই সন্তুষ্টির জন্য একান্তভাবে কবুল করে নেন। আর যে ব্যক্তি এই লিফলেটটি পড়বে, ছাপাবে অথবা এর প্রচারের কারণ হবে তাকেও যেন তিনি উপকৃত করেন। নিশ্চয় পবিত্র মহান সত্তা রাব্বুল ‘ইজ্জত এ কাজের অধিকারী এবং পূর্ণ ক্ষমতাবান।

 আল্লাহ তা‘আলা দুরূদ পেশ করেন আমাদের নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর, তার বংশধর, তাঁর সাহাবীগণ এবং কিয়ামত পর্যন্ত যারা উত্তমভাবে তাদের অনুসরণ করবে তাদের ওপরও।

 শাইখ মা‘সূম মজুমদার

 মক্কাতুল মুকার্‌রামা

 ১২ রবিউস্‌সানী, ১৪৩৬

 তথ্যসূত্র:

 1- المختصر الفقه الإسلامي للشيخ محمد بن إبراهيم التويجري (ص 808-811)

 2- الروض المربع

 3- الموسوعة الفقهية الكوتية ج 36 (309-316ص)