×
মানুষ দু’টি বস্তুকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারে না। অনেক মানুষই এমন আছে যারা তাদের সময়ের ব্যাপারে উদাসীন। যদি তারা তাদের সময়কে যিকর, দো‘আ, ইস্তেগফার, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধে কাজে লাগাতো তবে তা তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে প্রভূত কল্যাণ বয়ে আনত। এ প্রবন্ধে অল্প সময়ে কিভাবে অনেক সাওয়াব অর্জন করা যায় তার কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে।

    নেক আমলের সুবর্ণ সুযোগ

    [ বাংলা – Bengali – بنغالي ]

    শাইখ আবুল কাসেম মুহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ

    সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    2014 - 1435

    ﴿فرصة ذهبية لكسب الأجر﴾

    « باللغة البنغالية »

    الشيخ أبو القاسم محمد معصوم بالله

    مراجعة: د/ أبو بكر محمد زكريا

    2014 - 1435

    নেক আমলের সূবর্ণ সুযোগ

    এসব ‘আমল করতে অযুর প্রয়োজন নেই, নেই কোনো কষ্ট, পরিশ্রম। আপনি হাটা-চলা অবস্থায় বা গাড়ীতে বসা অবস্থায় অথবা শোয়া অবস্থায় অথবা দাঁড়ানো অবস্থায় অথবা কারো জন্য অপেক্ষায় বা কোনো কাজের জন্য লাইনে দাড়ানো অপেক্ষারত আছেন... এমন সময় নিম্নোক্ত তাসবিহ পড়ুন :

    ১- মাত্র ১ মিনেটে আপনি ১০০ বার “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী” যিকরটি করতে সক্ষম হবেন, (ইন-শাআল্লাহ)। এ যিকরটি করার ফযিলত: (একদিনে ১০০ বার কেউ যদি এ যিকরটি করে, তার জীবনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে, যদিও তার গুনাহ সাগরের বিশাল ফেনারাশির মতো অতিবেশী হয়)(যেমনটি সাহীহ হাদীসে রয়েছে)

    ২- মাত্র ১ মিনেটে আপনি ৪০ বারের বেশী “লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” যিকরটি করতে সক্ষম হবেন, (ইন-শাআল্লাহ)। এই যিকরটি জান্নাতের গুপ্তধনভাণ্ডারের মধ্য হতে একটি গোপন ধনভাণ্ডার। (যেমনটি সাহীহ হাদীসে রয়েছে)

    ৩- মাত্র ১ মিনেটে আপনি ১৫ বারের বেশী “সুবহানাল্লাহে ওয়া বিহামদিহী ‘আদাদা খালকিহী, ওয়া রেদা-নাফসিহী, ওয়া যিনাতা আরশিহী ওয়া মিদাদা কালিমাতিহী” যিকরটি করতে সক্ষম হবেন, (ইন-শাআল্লাহ)। উপরোক্ত যিকরটি করলে অগণিত তাসবীহ ও যিকর করার সমান সাওয়াব পাওয়া যাবে, ইন-শাআল্লাহ। (যেমনটি সাহীহ হাদীসে রয়েছে)

    ৪- মাত্র ১ মিনেটে আপনি ১০০ বারের বেশী “আস্তাগফিরুল্লাহ” যিকরটি পাঠ করতে সক্ষম হবেন, (ইন-শাআল্লাহ)“আস্তাগফিরুল্লাহ” যিকরটি দ্বারা আল্লাহর পক্ষ হতে মাগফিরাত লাভ হবে, জান্নাত লাভ হবে এবং আপনার সবধরণের শক্তি বাড়বে, যাবতীয় বালা-মুছিবত, বিপদাপদ দূর হয়ে যাবে এবং আপনার সকল কাজ সহজ হবে, আর খরার সময় বৃষ্টি নাযিল হবে এবং নেক সন্তান ও মাল-সম্পদ দ্বারা আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবেন। (যেমনটি সাহীহ হাদীসে রয়েছে)

    ৫- মাত্র ১ মিনেটে আপনি ৫০ বার “নবীর জন্য সালাত (দরূদ) ও সালাম” (আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ) পাঠ করতে সক্ষম হবেন, (ইন-শাআল্লাহ)। এই ‘আমলের সাওয়াব হিসেবে আল্লাহ তা‘আলা আপনার জন্য ৫০০ বার রহমত নাযিল করবেন, (ইন-শাআল্লাহ)(যেমনটি সাহীহ হাদীসে রয়েছে)

    ৬- মাত্র ১ মিনেটে আপনি ৫০ বার “সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী, ছুবহানাল্লাহিল আযীম” যিকরটি করতে সক্ষম হবেন, (ইন-শাআল্লাহ)। এই ‘আমলটি উচ্চারণ করতে হালকা, কিন্তু আখেরাতে আপনার যাবতীয় ‘আমল ওযন দেয়ার জন্য দাড়িপাল্লাতে রাখা হলে এই ‘আমলটি বেশী ভারী হবে (যেমনটি সাহীহ হাদীসে রয়েছে)

    ৭- মাত্র ১ মিনেটে আপনি ২৫ বার “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” যিকরটি করতে সক্ষম হবেন, (ইন-শাআল্লাহ)। যিকরের এই বাক্যগুলো আল্লাহ তা‘আলার নিকট অতি প্রিয় বাক্য। (যেমনটি সাহীহ হাদীসে রয়েছে)

    ৮- মাত্র ১ মিনেটে আপনি ৫০ বার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” যিকরটি করতে সক্ষম হবেন, (ইন-শাআল্লাহ) (‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ হলো সর্বোত্তম যিকর, যেমনটি সাহীহ হাদীসে রয়েছে)

    ৯- মাত্র ১ মিনিটে আপনি যে কোনো উপকারী এবং সহজে বুঝা যায় এমন কোনো বইয়ের ২ পৃষ্ঠারও বেশী পাঠ করতে সক্ষম হবেন (ইন-শাআল্লাহ)

    ১০- আপনি আপনার কোনো আত্মীয়ের খোজ-খবর নিতে সক্ষম হবেন, আর এতে আপনার মাত্র ১ মিনিট সময় লাগবে (ইন-শাআল্লাহ)

    ১১- আপনি যে কাউকে ভালো কাজের আদেশ দিতে পারেন এবং খারাপ কাজ থেকে নিষেধ করতে পারেন, অথবা আপনি কাউকেও নসীহত করতে পারেন, অথবা আপনি কারো জন্য উত্তম শাফায়াত (তার উপকারার্থে তার জন্য কারো কাছে সুপারিশ) করতে পারেন অথবা, যে কোনো দুঃচিন্তাগ্রস্থ ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দিতে পারেন অথবা রাস্তা হতে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দিতে পারেন অথবা, কিছু সংখ্যক মানুষের সাথে মোছাফাহা করতে পারেন। আর এর প্রত্যেকটি কাজে আপনার মাত্র ১ মিনিট করে সময় লাগবে (ইন-শাআল্লাহ)