×
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের অনুসরনে রমজা মাসে ইতিকাফ করতে চাই। ইতিকাফের আহকাম ও শর্তসমূহ যদি বর্ণনা করতেন তবে খুব ভালো হত। এ জাতীয় একটি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, যা হল এইরূপ : ইতিকাফকারীর জন্য কি মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ যার উদ্দেশ্য হবে : রোগী দেখা, খাবার দাওয়াত কবুল করা, আত্মীয়-স্বজন দেখতে যাওয়া, জানাজায় অংশ নেয়া।

    ই'তিকাফের বিধান ও কতিপয় শর্ত

    من أحكام الاعتكاف وشروطه

    < بنغالي- Bengal - বাঙালি>

    ইলমী গবেষণা এবং ফাতাওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি

    اللجنة الدائمة للبحوث العلمية والإفتاء

    —™

    অনুবাদক: জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের

    সম্পাদক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    ترجمة: ذاكر الله أبو الخير

    مراجعة: د/ أبو بكر محمد زكريا

    ই'তিকাফের বিধান ও কতিপয় শর্ত

    প্রশ্ন: ই'তিকাফের শর্তসমূহ কী কী? সাওম কি ই'তিকাফের অন্তর্ভুক্ত? ই'তিকাফ অবস্থায় কোনো অসুস্থ ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করা অথবা কারো আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া কিংবা তার পরিবারের প্রয়োজন সম্পাদন করা বা কারো জানাযায় শরিক হওয়া অথবা অন্য কোনো কাজে যাওয়ার বিধান কী?

    উত্তর: যে মসজিদে জামা'আতের সাথে সালাত আদায় করা যায় সে মসজিদে ই'তিকাফ করা বৈধ। যদি ই'তিকাফকারীর ওপর জুমু'আর সালাত ওয়াজিব হয়, আর ই'তিকাফ করা অবস্থায় জুমু'আ এসে যায় তাহলে তার জন্য উত্তম হলো যেখানে জুমু'আ আদায় হয় সেখানে গিয়ে জুমু'আর সালাত আদায় করা। ই'তিকাফের জন্য সাওম রাখা আবশ্যক নয়। ই'তিকাফকারীর জন্য সুন্নত হচ্ছে কোনো অসুস্থ-রোগীর সাথে সাক্ষাত না করা, কারো আমন্ত্রণে সাড়া না দেওয়া, পরিবারের প্রয়োজন পূরণ করতে না যাওয়া, কারো জানাযায় শরিক না হওয়া ও মসজিদের বাহিরে কোনো কাজে না যাওয়া।

    আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “ই'তিকাফকারির সুন্নত হলো কোনো রোগীর সাথে সাক্ষাত না করা, কারো জানাযায় শরিক না হওয়া, স্ত্রীকে স্পর্শ ও সহবাস না করা এবং কোনো প্রয়োজনে বের না হওয়া, তবে যা না করে উপায় নেই তা করা যাবে। (সুনান আবু দাউদ: ৮৩৬/২)

    সমাপ্ত