মুসলমান ব্যবসায়ী থাকা সত্ত্বেও অমুসলিম ব্যবসায়ী থেকে কেনা কাটার বিধান
ক্যাটাগরিসমূহ
Full Description
<!-- /* Font Definitions */ @font-face {font-family:SimSun; panose-1:2 1 6 0 3 1 1 1 1 1; mso-font-alt:宋体; mso-font-charset:134; mso-generic-font-family:auto; mso-font-format:other; mso-font-pitch:variable; mso-font-signature:1 135135232 16 0 262144 0;} @font-face {font-family:SolaimanLipi; panose-1:2 0 5 0 2 0 0 2 0 4; mso-font-charset:0; mso-generic-font-family:auto; mso-font-pitch:variable; mso-font-signature:-2147385341 0 0 0 1 0;} @font-face {font-family:"\@SimSun"; panose-1:0 0 0 0 0 0 0 0 0 0; mso-font-charset:134; mso-generic-font-family:auto; mso-font-format:other; mso-font-pitch:variable; mso-font-signature:1 135135232 16 0 262144 0;} /* Style Definitions */ p.MsoNormal, li.MsoNormal, div.MsoNormal {mso-style-parent:""; margin:0cm; margin-bottom:.0001pt; mso-pagination:widow-orphan; font-size:19.0pt; font-family:"Courier New"; mso-fareast-font-family:SimSun; mso-bidi-font-family:"Times New Roman"; color:maroon; mso-fareast-language:ZH-CN;} @page Section1 {size:612.0pt 792.0pt; margin:72.0pt 90.0pt 72.0pt 90.0pt; mso-header-margin:36.0pt; mso-footer-margin:36.0pt; mso-paper-source:0;} div.Section1 {page:Section1;} -->
প্রশ্ন : কেনা-কাটার ক্ষেত্রে মুসলমানের পারস্পরিক সহযোগিতা পরিহার করা যেমন- কোনো কিছু কেনার প্রয়োজন হলে মুসলিমের দোকান থেকে না কিনে অমুসলিমের দোকান থেকে ক্রয় করা ইত্যাদি প্রবণতাকে শরিয়ত কোন দৃষ্টিতে দেখে?
উত্তর : ইসলামে সব কিছুই পরিচালিত হয় সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে। এ ক্ষেত্রে ইসলামের আসল মূলনীতি হল, কিছু কেনার দরকার হলে প্রয়োজনের তাগিদে মুসলিম-অমুসলিম যে কারও কাছ থেকে কেনা যাবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহুদিদের থেকেও বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করেছেন। সুতরাং কাফেরদের থেকে কেনাকাটা করায় কোনো ক্ষতি নাই। তবে কোনো প্রকার যৌক্তিক কারণ যেমন- ধোঁকা দেয়া, দাম বেশি ধরা, ভেজাল পণ্য সরবরাহ করা কিংবা মিথ্যার আশ্রয় নেয়া ইত্যাদি ছাড়া একজন মুসলমানকে বাদ দিয়ে কোনো কাফের থেকে ক্রয় করা- যা মুসলমানের বিপক্ষে কাফেরকে সহযোগিতা করার শামিল- অবশ্যই হারাম। কারণ, এর মাধ্যমে কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব, তাদের কাজে সম্মতি এবং তাদের প্রতি মুহাব্বত-ভালোবাসা পোষণ ইত্যাদির প্রমাণ মেলে। এ ছাড়াও যদি কোনো মুসলমানের অভ্যাস এমন হয় যে, সে সব সময় অমুসলিমদের থেকেই ক্রয় করে যার ফলে মুসলমান ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের মালামালের অবমূল্যায়ন হয় এবং তাদের মালমাল বাজারজাত করা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়, তা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়। আর যদি মুসলমাদের মধ্যে এমন কোনো কারণ যেমন- ধোঁকা দেয়া, দাম বেশি নেয়া, মানুষকে ঠকানো ইত্যাদি সমস্যা পাওয়া যায়, তবে মুসলমানদের থেকে খরিদ না করে তাকে সংশোধনের জন্য চেষ্টা করা যেতে পারে। যদি সে সংশোধন হয়ে যায় তো বেশ (আলহামদুলিল্লাহ)। আর যদি সংশোধন না হয় তবে অমুসলিমদের থেকে খরিদ করায় কোনো অসুবিধা নাই- যদি সে কাফের হয়, লেনদেন ভাল করে এবং ব্যবসায় মিথ্যার আশ্রয় না নেয়।
আব্দুল্লাহ বিন মনীয়, আব্দুল্লাহ বিন গাদয়ান, আব্দুররাজ্জাক আফিফী , ইবরাহীম বিন মুহাম্মদ আলে শেখ