هل تخرج زكاتها لابنها الذي يعيش معها
أعرض المحتوى باللغة الأصلية
فتوى مترجمة إلى اللغة البنغالية، عبارة عن سؤال، ونصه : " هل يجوز لامرأة أن تخرج زكاة مالها إلى ابنها البالغ 21 سنة، والذي يعيش معها، ولا يزال في دراسته، ولا يرغب في الاقتراض لإكمال دراسته ؟ هو يعمل في الإجازات الأسبوعية، ولكن دخله لا يكفي ؟ ".
মা কি নিজের ছেলেকে যাকাত দিতে পারবে, যে তার সাথেই থাকে?
هل تخرج زكاتها لابنها الذي يعيش معها؟
< بنغالي- Bengal - বাঙালি>
ইসলাম কিউ এ
موقع الإسلام سؤال وجواب
অনুবাদক: সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
ترجمة: : ثناء الله نذير أحمد
مراجعة: د/ أبو بكر محمد زكريا
মা কি নিজের ছেলেকে যাকাত দিতে পারবে, যে তার সাথেই থাকে?
প্রশ্ন: মা কি নিজের ছেলেকে যাকাত দিতে পারবে? যার বয়স ২১ বছর এবং সে মায়ের সাথেই থাকে, তবে তার পড়া-লেখা এখনো শেষ হয় নি, আর পড়া-লেখা পূর্ণ করার জন্য সে ঋণ নিতেও আগ্রহী নয়। সাপ্তাহিক ছুটিতে কাজ করে, তবে সে বেতন তার জন্য যথেষ্ট নয়।
উত্তর: আল-হামদুলিল্লাহ!
আলিমগণ সবাই একমত যে, যাকাতদাতা এমন কাউকে যাকাত দিতে পারবে না, যার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তার নিজের ওপর রয়েছে। অতএব, মায়ের অবস্থা দেখা জরুরি, যদি শরী'আতের দৃষ্টিতে তার ওপর ছেলের ভরণ-পোষণ ওয়াজিব হয়, সে ছেলেকে যাকাত দিতে পারবে না, আর যদি তার দায়িত্বে ছেলের ভরণ-পোষণ ওয়াজিব না হয়, ছেলেকে যাকাত দিতে তার সমস্যা নেই, বরং অন্য কাউকে দেওয়ার চেয়ে তাকে দেওয়া উত্তম।
নিম্নের কয়েকটি শর্তে মায়ের উপর ছেলের ভরণ-পোষণ ওয়াজিব হয়:
১. ছেলের বাবা না থাকা, যদি বাবা থাকে তার ভরণ-পোষণ কেবল বাবার জিম্মায়।
ইবন কুদামাহ “মুগনি" গ্রন্থে বলেন: “বাবা না থাকলে মায়ের দায়িত্ব ছেলের ব্যয়ভার গ্রহণ করা। ইমাম আবু হানীফা ও শাফে'ঈ এ কথা বলেছেন"। শেষ।
২. মায়ের ধনী হওয়া, অর্থাৎ মায়ের কাছে নিজের প্রয়োজন অপেক্ষা বেশি সম্পদ থাকা।
৩. সন্তানের গরীব ও সম্পদ মুখাপেক্ষী হওয়া।
এ তিনটি শর্ত সাপেক্ষে মায়ের ওপর সন্তানের ভরণ-পোষণ ওয়াজিব হবে, এমতাবস্থায় মায়ের পক্ষ থেকে তার সন্তানকে যাকাত দেওয়া জায়েয নয়।
যদি বাবা বর্তমান থাকে তবে মায়ের পক্ষ থেকে তার সম্পদের যাকাত সন্তানকে দেওয়া বৈধ, কারণ তখন মায়ের ওপর তার ভরণ-পোষণ ওয়াজিব নয়।
হাফিজ ইবনে হাজার রহ. “ফাতহুল বারি" গ্রন্থে বলেন: “ইবনুল মুনযির প্রমুখগণ বলেছেন: ওয়াজিব যাকাত সন্তানকে দেওয়া বৈধ নয় এটিই আলিমদের ঐকমত্য। হাফিয ইবন হাজার বলেন: এ কথা ভেবে দেখা জরুরি, কারণ যাকাতদাতা কেবল তাকেই যাকাত দিতে পারবে না, যার ভরণ-পোষণ তার ওপর ওয়াজিব। আর বাবা বর্তমান থাকাবস্থায় মায়ের ওপর ছেলের ভরণ-পোষণ ওয়াজিব নয়"। সামান্য পরিবর্তনে শেষ হলো।
আর যদি ছেলের ভরণ-পোষণ দেওয়ার সামর্থ্য মায়ের না থাকে, (কেবল যাকাতের সম্পদ ব্যতীত) তাহলে সন্তানকে যাকাত হিসেবে দিতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, এমতাবস্থায় মায়ের ওপর ছেলের ভরণ-পোষণ ওয়াজিব নয়।
ইবনে তাইমিয়াহ রহ. “ইখতিয়ারাতুল ফিকহিয়্যাহ" (পৃ. ১০৪) গ্রন্থে বলেন: “পিতা-মাতাকে যাকাত দেওয়া বৈধ, যদিও তারা আরও উপরের সারির হয় এবং সন্তানকেও যাকাত দেওয়া বৈধ, যদিও তারা আরও নিচের সারির হয়, তবে পিতা-মাতা ফকির হন এবং যাকাতদাতা পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ করার সামর্থ্য না থাকে ( অর্থাৎ যাকাতদাতা সন্তানের কাছে কেবল যাকাতের টাকাই অবশিষ্ট থাকে)। ইমাম আহমদের মাযহাবের একটি মত এটি"। সংক্ষিপ্তভাবে শেষ হলো।
ইবন তাইমিয়াহ “মাজমুউল ফতোয়া": (২৫/৯২) গ্রন্থে বলেন: “সন্তান যদি ভরণ-পোষণ মুখাপেক্ষী হয়, আর তার ভরণ-পোষণ করার সামর্থ্য পিতার না থাকে, এমতাবস্থায় সন্তানকে যাকাত দেওয়া যাবে কি না দ্বিমত রয়েছে। প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী এমতাবস্থায় পিতার পক্ষ থেকে যাকাত গ্রহণ করা তার জন্য বৈধ। আর যদি বাবার প্রদেয় খরচ তার জন্য যথেষ্ট হয়, তার জন্য বাবার যাকাত গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই। শেষ হলো।
অনুরূপ সন্তান যদি ঋণী হয়, মা তাকে যাকাত দিবে, যা দিয়ে সে ঋণ পরিশোধ করবে।
সমাপ্ত