وجوب النفقة على الزوجة والعيال
أعرض المحتوى باللغة الأصلية
مقالة باللغة البنغالية تبين ضرورة النفقة على الزوجة والأولاد وغير هم ولا يجوز تركهم ليسألوا الناس أموالهم.
بسم الله الرحمن الرحيم
অনন্ত করুণাময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে
পোষ্যবর্গের জীবনযাত্রার সমস্ত সামগ্রীর খরজ বহন করা ওয়াজিব বা অপরিহার্য
পোষ্যবর্গের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বা খোরপোশ জোগানোর সুব্যবস্থা করা অপরিহার্য। এই বিষয়ে প্রকৃত ইসলামের স্পষ্ট বিধান হলো এই যে,
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: "خَيْرُ الصَّدَقَةِ مَا كَانَ عَنْ ظَهْرِ غِنًى, وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُوْلُ ".
(صحيح البخاري, رقم الحديث 1426).
অর্থঃ আবু হুরায়রা [রাদিয়াল্লাহু আনহু] হতে বর্ণিত, তিনি নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে বর্ণনা করেছেনঃ নাবী কারীম [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ “অভাব মুক্ত অবস্থায় দান করা হলো সর্বোত্তম দান, তবে সর্ব প্রথমে তুমি তোমার নিজের পোষ্যবর্গের ভরণপোষণ ও খোরপোশের সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করবে”।
[সহীহ বুখারী, হাদীস নং 1426]।
এই হাদীসটি প্রমাণ করে যে, স্বয়ং দানকারী এবং তার পোষ্যবর্গ অভাবমুক্ত অবস্থায় থাকলে, সে অন্য ব্যক্তিকে সদকা বা দান প্রদান করতে পারে। তবে অন্য ব্যক্তিকে সদকা দান প্রদান করার আগে মুসলিম ব্যক্তির নিজের এবং তার পোষ্যবর্গের ভরণপোষণ ও খোরপোশ জোগানোর সুব্যবস্থা করা ওয়াজিব ও অপরিহার্য। তাই নিজের পোষ্যবর্গকে ভিক্ষার পথে ছেড়ে দিয়ে অন্য মানুষকে সদকা বা দান প্রদান করা কোনো সময় জায়েজ নয়। সুতরাং এই বিষয়ে অনেক হাদীস উল্লিখিত হয়েছে, তার মধ্যে থেকে এখানে একটি হাদীস উল্লেখ করা হলোঃ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "كَفَى بِالْمَرْءِ إِثْمًا أَنْ يُضَيِّعَ مَنْ يَقُوتُ".
(سنن أبي داود, رقم الحديث 1692, قَالَ العلامة محمد ناصر الدين الألباني عن هذا الحديث بأنه: حسن).
অর্থঃ আব্দুল্লাহ বিন আমর [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ “একজন লোকের পাপী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে নিজের পোষ্যবর্গের ভরণপোষণের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তাদেরকে প্রদান করার দায়িত্ব পালন করা হতে বিরত থাকবে”।
[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং 1692, আল্লামা নাসেরুদ্দিন আল্ আলবাণী এই হাদীসটিকে হাসান বলেছেন]।
এই বিষয়ে আরো একটি হাদীস পেশ করা উচিত মনে করছি । আর সেই হাদীসটি হলো এই যে,
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا 000 قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "كَفَى بِالْمَرْءِ إِثْمًا أَنْ يَحْبِسَ عَمَّنْ يَمْلِكُ قُوتَهُ ".
(صحيح مسلم, رقم الحديث 40 - (996), ).
অর্থঃ আব্দুল্লাহ বিন আমর [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ “একজন লোকের পাপী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে নিজের পোষ্যবর্গের ভরণপোষণের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তাদেরকে না দিয়ে তা আটকে রাখবে”।
[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 40 -(996)]।
এই হাদীসগুলির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, একজন মুসলিম ব্যক্তির নিজের এবং তার পোষ্যবর্গের জীবনযাত্রার সমস্ত খরজ বহন করা তার উপর ওয়াজিব বা অপরিহার্য। এই অপরিহার্য দায়িত্বপালনে অবহেলা কিংবা গাফিলতি করলে সে একজন পাপিষ্ঠ মানুষ বলে পরিগণিত হবে। তাই নিজের কর্তব্যপালনের বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার। এবং কোনো সময় দায়িত্বপালনের কাজে অবহেলা করা বৈধ নয়।
নিজের পোষ্যবর্গের তথা নিজের স্ত্রী এবং সন্তানদের ভরণপোষণ ও খোরপোশের সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতেই হবে। এর জন্য তার উপর বৈধ পদ্ধতিতে এবং হালাল পন্থায় রুজিরোজগার করা অপরিহার্য। যাতে শান্তির সহিত সে নিজের এবং নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য ভরণপোষণ ও খোরপোশ জোগানোর সুব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়।
নিজের পোষ্যবর্গ বলা হয়ঃ নিজের স্ত্রী ও সন্তানসন্ততি ইত্যাদিকে।
ডঃ মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ
28/ 2/ 1436 হিজরী (20/ 12/ 2014 খ্রীষ্টাব্দ )