الحجاب الشرعي وتصرفات بعض المحجبات
أعرض المحتوى باللغة الأصلية
هذه رسالةٌ مُوجَّهة إلى كل فتاة، للتنبيه على الحجاب الشرعي، وكيف أن كثيراً من الفتيات والنسوة في بنغلاديش قد تخلين عنه، وتركت حشمتها وحياءها، وتطرق المؤلف إلى التهم الموجهة إلى بعض المتحجبات من بعض تصرفاتهن، ثم ردّ على هذه التهم، وذكر أن هذه تصرفات فردية ليس لها علاقة بالحجاب الشرعي، ثم ذكّر الآباء بوجوب رعاية الأولاد والبنات بعيداً عن التشبُّه بالكفار في الملابس والعادات، وذُكِر فيها العديد من التحذيرات والنصائح النافعة، مُذكِّرةً بشروط الحجاب الشرعي التي أمر الله بالالتزام بها..
কিছু বোরকা পরা বোনের আচরনের জন্য বোরকাকে দায়ী করা যাবে না
[ বাংলা – Bengali – بنغالي ]
আলী হাসান তৈয়ব
সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
2012 - 1433
لا يؤاخذ على الحجاب بتصرفات بعض المتحجبات
« باللغة البنغالية »
علي حسن طيب
مراجعة: د/ أبو بكر محمد زكريا
2012 - 1433
কিছু বোরকা পরা বোনের আচরনের জন্য বোরকাকে দায়ী করা যায় না
বাংলাদেশে পর্দা করেন কিংবা বোরকা পরেন এমন নারীর সংখ্যা নগন্য নয়। মুসলিম নারীদের অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ পর্দা করেন। দেশের যে কোনো প্রান্তে গেলেই অহরহ চোখে পড়ে বোরকা পরা নারী। সন্দেহ নেই বোরকা পরা নারীকে অন্য যে কোনো পোশাক পরিহিত নারীর চেয়ে শালীন ও সমীহযোগ্য দেখায়। তাদের দেখলে কেবল অসুস্থ মানসিকতার লোকরা ছাড়া সবাই মনে মনে শ্রদ্ধা বোধ করেন। মুসলিম সমাজে পথে-ঘাটে তাদের সম্মান দেখানো হয়। গাড়িতে সিট না পেলে বেপরোয়া তরুণরাও তাদের জন্য নিজের আসন ছেড়ে দেয়। যারা সত্যিকার পর্দা করেন রাস্তা-ঘাটে তাদের পিছু লাগে না বখাটে যুবকরাও। এটিই বাংলাদেশের স্বাভাবিক চিত্র।
তবে বাংলাদেশের এই স্বাভাবিক চিত্রের উল্টোপিঠও আজকাল দেখা যাচ্ছে। এ যুগের বোরকা পরা মেয়েদের পেছনেও ইদানীং বখাটে ছেলেরা ঘুরঘুর করছে। বোরকা হেফাযতের কারণ হওয়ার পরও অনেক বোরকাবৃতা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। গৃহবধূ থেকে নিয়ে স্কুল-কলেজ এমনকি মাদরাসার ছাত্রীরাও সাম্প্রতিককালে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারাও আজকাল খবরের শিরোনাম হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আসলে স্বতন্ত্রভাবে ভাবা দরকার। আমি এ বিষয় নিয়ে অল্প-বিস্তর ভেবেছি। কিছু পয়েন্ট ও কারণও নোট করেছি। সেসবের আলোকে সংক্ষেপে বিষয়টি আলোচনার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।
বিশ্বব্যাপী ইসলামের পর্দা বিধানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, দেশীয় মিডিয়াগুলোয় বোরকাকে নেতিবাচকভাবে বিরামহীন উপস্থাপন, সর্বোপরি কিছু বোরকাধারীর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ হেতু দিনদিন বোরকার প্রতি এক শ্রেণীর মানুষের বিরূপ মনোভাব গড়ে উঠছে। মিডিয়ার বিষয়টি বাদ দিলে তথাকথিত এই বোরকাওয়ালীদের আচরণই মূলত দায়ী সম্প্রতি একটি শ্রেণীর বোরকাবিরোধী কটু বাক্য উচ্চারণে অভ্যস্তকরণে। এদের কারণে অনেক সময় প্রকৃত পর্দাশীল নারীদেরও দুষ্টু লোকের অশিষ্ট মন্তব্য হজম করতে হয়। নিজের মতো বোরকা পরা একটি মেয়েকে নষ্টামি করতে দেখে কে না লজ্জায় অধোবদন হন। মানুষের সামনে আড়ষ্ট হয়ে ভেতরে হায় হায় করেন।
মনে পড়ে ছাত্র জীবনে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে প্রথম বোরকাওয়ালী কিছু নারীর প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ দেখি। সেটি আমাকে প্রবলভাবে নাড়িয়ে দেয়। তারপর ক্রমশ এ চিত্র নিয়মিত চোখে পড়তে লাগে। এখন শহরের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বলতেই এমন কিছু ব্যাপার সেখানে ডালভাত। ঢাকার নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের হোটেল রেস্তোরায় অশ্লীল পোশাক পরা মেয়েদের মতো, বোরকা পরা অনেক শালীন পোশাকধারীকেও দেখা যায় বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অবলীলায় আড্ডা দিতে। রিকশার হুড ফেলে বেগানা পুরুষের সঙ্গে স্বামীর মতো করে গা ঘেষে বিচরণ করতে। ঢাকার টাউন সার্ভিস বাসগুলোয় অন্য তরুণ-তরুণীদের তো বটেই বোরকা পরা কোনো মেয়েকে পেছনের সিটে বসে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখলে আর কষ্টের অন্ত থাকে না। মুসলিম মেয়েদের আঁটশাট পোশাক আর অশ্লীলতার নির্লজ্জ প্রদর্শনীর জ্বালায় যখন পথে বেরুনো দায় তখন এই গুটিকয় বোরকাধারীর এসব আচরণ আরও অসহ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এদের কারণে অনেকে বোরকাকে খেলো মনে করতে শুরু করছেন।
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে কিংবা শহরের কোনো পার্ক বা রেস্টুরেন্টে গেলে আপনারও চোখে পড়বে বোকরাবৃতা মেয়েদের অসংলগ্ন আচরণ। শহরের রাস্তাগুলোয়ও দেখবেন ব্রীড়াহীন কিছু করতে। যানবাহন আর পার্কে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জিত বাপের টাকায় পড়তে আসা ছাত্রীদের দেখবেন বয়ফ্রেন্ডদের সঙ্গে পতিজ্ঞানে চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। সত্যিকার পর্দাকারীণী এবং ইসলাম অন্তপ্রাণ বলতেই তাদের এসব অভব্য, ইসলামী শিষ্টাচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড দেখে বিস্মিত ও ব্যথিত হন। তাদের নিয়ে যখন মানুষ বিরূপ মন্তব্য করে তখন নিলাজ তারা হয়তো শুনতে পান না কিংবা শুনলেও তাদের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না; কিন্তু ইসলামপ্রেমী অন্য যারা এসব খারাপ মন্তব্য করতে শোনেন, তারা ঠিকই বিব্রত বোধ করেন। প্রচণ্ডভাবে মর্মাহত হন।
কাউকে দেখা যায় বোরকা পরেছেন তো তার মুখ খোলা। উপরন্তু মুখমণ্ডলে মেকাপ আর রংয়ের ছড়াছড়ি। ঠোঁটে কড়া লিপস্টিকের দৃষ্টিকটু কারুকাজ। আরেক শ্রেণীর নারীদের দেখা যায় জিন্স প্যান্ট আর টাইট গেঞ্জি পরেন, কিন্তু মাথা আবৃত রাখেন ফ্যাশনেবল স্কার্ফ দিয়ে। শরীরের গঠন তাতে কেবল সুদৃশ্যমানই হয়ে ওঠে না, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা পুরুষকে আর দশজন বেপর্দা নারীর চেয়ে বরং বেশিই আকর্ষণ করে। আরেকটি শ্রেণী আছে যারা বোরকা পরেন; মুখও ঢাকেন ঠিক, কিন্তু সে বোরকা আর স্কার্ফ এতোটাই পাতলা যে তাতে আবৃত দেহের আকার-আকৃতি অক্লেশেই পুরুষের লোলুপ দৃষ্টিতে টেনে নেয়।
এদিকে বিস্ময়কর হলেও মুসলিম দেশের নারীদের এখন অহরহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গণে আসতে দেখা যাচ্ছে। ক্রিকেট, ফুটবল, সাঁতার ও দৌড় থেকে নিয়ে ক্রীড়া কোনো আঙ্গনই আজ মুসলিম মেয়েদের সামনে অগম্য মনে হচ্ছে না। ইরান-ইরাক ও সৌদি নারীরা বিশ্ব অলিম্পিকসহ সব আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরে পর্দার (?) সঙ্গে অংশ নিয়ে মিডিয়ার বদৌলতে সবার দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন। বুঝি না পৃথিবীর যে কোনো দেশ বা যে কোনো ধর্মের লোকেরা কোনো খেলা আবিষ্কার করলেই তাতে মুসলিম নারীকে অংশ নিতে হবে তা কেন ভাবা হচ্ছে?! খবরের কাগজে প্রায়শই বিশেষ স্কার্ফ পরা আর গায়ের সঙ্গে গভীরভাবে লেপ্টে থাকা পোশাকে ইরানের প্রমিলা ক্রীড়াবিদদের ছবি ছাপা হয়। কী অদ্ভুত প্রবণতা! আরে আপনি যদি পর্দাই করবেন তবে কেন লাখো-সহস্র দর্শকের সামনে নিজের দেহ প্রদর্শনীমূলক ক্রীড়ায় অংশ নিতে হবে?!
আরও হাস্যকর ব্যাপার হলো, মুসলিম বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগও কোনো কোনো আরব দেশে করা হয়। যে প্রতিযোগিতা কেবলই নারীর দেহকে পূঁজি করে বাণিজ্যিক ফায়দা লোটার মতবলে আয়োজিত তাতে কেন অংশ নিতে হবে। দেশের গৌরব তো নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তি ও পরোপকারী মানসিকতা দিয়েই বাড়ানো যায়, নারীকে ব্যবসার পণ্য বানিয়ে কেন দেশের গৌরব (?) বাড়াতে হবে?
অনেক মা-বোনকে দেখা যায়, বোরকা পরে কিংবা মাথায় হিজাব লাগিয়ে নিজের মেয়েকে অর্ধনগ্ন পোশাকে লাক্স ফটো সুন্দরী কিংবা ক্লোজ আপ ওয়ানের মতো নাচ, গান কিংবা সুন্দরী বিচিত্র দেহ প্রদর্শনীমূলক প্রতিযোগিতায় নিয়ে যান। আর এসব প্রতিযোগিতায় নিজের মেয়েকে খেতাবধারী বানাতে ছোটবেলা থেকেই নিয়ে যান গান বা নাচের স্কুলে। মুসলিম হিসেবে শুদ্ধভাবে কুরআন শেখার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে সন্তানকে তা শেখাতে যারা যত্নশীল নন, বিস্ময়করভাবে তারাই কি-না দুদিনের যশ-খ্যাতি কামাতে নাচ-গানে এত আন্তরিক!
আমরা রোজ সমাজের অশান্তি ও অপরাধগুলো নিয়ে সমালোচনা করি, চিন্তা ও টেনশন করি, নিজেদের সন্তান কোনো দুর্ঘটনার শিকার হোক, অপক্ক বয়সে না বুঝে কোনো খারাপ ছেলের খপ্পরে পড়ুক, বখাটের হাতে ধর্ষিতা বা লাঞ্ছিতা হোক কেউ তা চাই না। কিন্তু মেয়েদের পোশাক, উচ্ছৃংখল আচরণ আর অতি আড়ম্বরপূর্ণ পদচারণ যে এসব ডেকে আনে গুরুত্ব দিয়ে তা ভাবি না। সাহস করে সে সত্য উচ্চারণ করি না। তাই বদলায় না আমাদের ভাগ্যও। থামে না নির্যাতিতার কান্না। বারবার পুনরাবৃত্তি ঘটে ধর্ষণ আর নির্যাতনের। যার জেরে ঘটে অসহায় মেয়েদের আত্মহত্যা আর আত্মাহুতির ঘটনা।
হ্যা, যারা বোরকা পরা সেসব নারীর সমালোচনা না করে বোরকাকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেন, তাদেরও একটি বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত, কিছু দুষ্ট প্রকৃতির নারী তাদের অপকর্ম নির্বিঘ্নে সম্পাদনের জন্য বোরকা ব্যবহার করেন। আবাসিক বোর্ডিং কিংবা ছিনতাই বা চুরি-ডাকাতির ক্ষেত্রেও এর আশ্রয় নেয় অনেক দুষ্ট লোক। হতভাগা কিছু নারী পরীক্ষায় নকলের জন্যও বোরকাকে কলংকিত করেন। এদের বিচার তো আল্লাহই করবেন। এ জন্য বোরকাকে দোষারোপ করা বা ধর্মদ্রোহীদের ভাষায় বোরকাবৃতাদের দোষ খুঁজে বেড়ানো আর যাই হোক কোনো ঈমানদারির পরিচয় হতে পারে না। এদের অপকর্মকে যদি কেউ বোরকা না পরার যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেন তবে তিনি অজ্ঞতা কিংবা ধর্মদ্রোহিতার পরিচয় দেবেন। কিছু লোকের অপকর্মের ভার কখনো কোনো শ্রেণীর ওপর চাপানো সুবিবেচনা হতে পারে না।
আরেকটি বিষয়, সারা পৃথিবীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে আমাদের মিডিয়াগুলোও তো বর্ণবাদের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ। রোজ পেপারে গুরুত্বের সঙ্গে বর্ণবাদী ঘটনার বিবরণে একে অপরাধ হিসেবে তুলে ধরা হয়। তথাপি তারা আবার কিভাবে বর্ণবাদী আচরণ করে ইসলাম অনুশীলনকারীদের প্রতি? সন্দেহ নাই, ইসলামী পোশাকের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও এক ধরনের বর্ণবাদী মানসিকতার পরিচায়ক।
উল্টো যুক্তি দিয়ে বলা যায়, তারা নিজেরা যে (সাধারণ) পোশাক পরেন, দুনিয়ার সব অপরাধী আর সন্ত্রাসী বদমাইশই তো সে পোশাকে শোভিত হন, তাই বলে কি প্যান্ট-শার্ট পরা দেখলেই তাকে কেউ বলতে পারে সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতিকারী? বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা আর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ফুলপ্যান্ট আর টি শার্ট বা কোর্ট-টাই পরেন বলে আমি কি এ পোশাকে কাউকে দেখলেই বলতে পারি এই বুশ, এই শ্যারন, এই নেতানিয়াহু? কখনো না। তাহলে বোরকা পরা কোনো নারীকে কিংবা অপরাধ সংগঠনের জন্যই বোরকা পরা পুরুষকে কাব্যাঘাত না করে কেন মুণ্ডুপাত করা হবে বোরকার? এ এক অন্যায়ই বটে।
তবে বোরকা পরা বোনদেরও মনে রাখতে হবে, ইসলামবিরোধী মিডিয়াগুলো সব সময় এসব খারাপ দৃষ্টান্ত লুফে নেয়। তারা টুপি-দাড়ি বা বোরকা পরা মানুষের কোনো দোষ পেলে দায়ী ব্যক্তির অপরাধের সমালোচনা না করে এই পোশাকের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগে যায়। আসলে এই ছুতোয় তারা নিজেদের ইসলাম না মানার কুবাসনা চরিতার্থ করে। নিজের ধর্মহীনতাকে জায়েয করার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।
আমরা যেমন সমাজ থেকে এই অন্যায় অভিযোগ ও সমালোচনার মূলোৎপাটন চাই, তেমন বোরকা পরা নারীদের কাছেও কামনা করি দায়িত্বশীল আচরণ। বোরকাবৃতারা কিছুতেই নিজের মর্যাদা ও সম্মানের কথা ভুলতে পারেন না। তাদের জানতে হবে কোন কাজটি তাদের সম্মানের সঙ্গে যায় আর কোনটি যায় না। শুধু সামাজিকতা রক্ষায় কিংবা বাবা-মার পীড়াপীড়িতে নয়, সকল নারীকে বোরকা পরতে তথা পর্দা করতে হবে আল্লাহর হুকুম সম্পর্কে জেনে এবং বিধানটিকে বুঝে। বুঝতে হবে বোরকা নয় আল্লাহর নির্দেশ পর্দা রক্ষা করা। আপাদমস্তক নিজেকে ঢেকে ফেলা এবং বেগানা পুরুষের সংশ্রব থেকে যথাসাধ্য দূরত্ব বজায় রাখা। পরিবারের নিরাপদ ছায়াই নারীর ঠিকানা। এর বাইরে যাবেন কেবল প্রয়োজনে। এর অন্যথা হলেই বিপত্তি।
এ পর্যায়ে এসে কেউ অবশ্যই প্রশ্ন তুলতে পারেন ইসলামী পর্দা তথা খাস শরঈ‘ পর্দা বলতে কী বুঝায়? পর্দার অর্থই কী বোরকা পরা নাকি আরও কিছু করণীয় আছে? আর মুখ সতর তথা আবরণীয় কি-না। মুখ না ঢাকলে কি পর্দা হবে না ইত্যাদি প্রশ্ন। এ বিষয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মাঝেমধ্যেই বিতর্ক তুলতে যাচ্ছে ইদানীং। আসলে এ বিষয়টি স্বতন্ত্র আলোচনার দাবি রাখে। তাই স্বতন্ত্র নিবন্ধেই বিষয়টি আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ। আগ্রহীরা আমার এ বিষয়ে স্বতন্ত্র নিবন্ধ পড়ে দেখতে পারেন।
এ জন্য অভিভাবকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। সন্তানকে আর সব শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামের মৌলিক শিক্ষাও দিতে হবে। পর্দা এবং ইসলামের শিষ্টাচার শেখাতে হবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে। পাশাপাশি তাদের জন্য পরিবারে নিশ্চিত করতে হবে ইসলামী অনুশাসন এবং সঠিক গৃহশিক্ষার। নিজের কষ্টে উপার্জিত অর্থ দিয়ে কলিজার টুকরো মেয়েকে বিধর্মী পোশাক কিংবা পুরুষদের বেশ কিনে দেবেন না। সন্তানকে বানাবেন না আল্লাহর রাসূলের অভিশাপের ভাগিদার। দায়িত্বশীল হিসেবে নিজেকেও বানাবেন না অপরাধী। বিচার দিবসে ন্যায়পরায়ণ আল্লাহর দরবারের আসামী। আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার এবং মানার তাওফীক দান করুন। আমাদের মেয়েদের বানান নবীপত্নী ‘আয়েশা, খাদিজা ও প্রিয়তম তনয়া ফাতেমার (রাদিয়াল্লাহু আনহুন্না) অনুসারী। আমীন। ইয়া রাব্বাল আলামীন।