ماذا يحدث إذا نسي أن يقول دعاء الجماع ؟
أعرض المحتوى باللغة الأصلية
سؤال أجاب عنه "الإسلام سؤال جواب" ونصه : لقد سمعت من قبل أنه إذا نسيت أن أقول دعاء الجماع قبل المعاشرة الزوجية فإن الشيطان يرى عوراتنا أو ما شابه ذلك ..... هل هذا الكلام صحيح؟ وهل يجب أن أقول دعاء الجماع لمجرد أني أداعب زوجتي وأرى عورتها؟
<!-- /* Font Definitions */ @font-face {font-family:SimSun; panose-1:2 1 6 0 3 1 1 1 1 1; mso-font-alt:宋体; mso-font-charset:134; mso-generic-font-family:auto; mso-font-pitch:variable; mso-font-signature:3 135135232 16 0 262145 0;} @font-face {font-family:SolaimanLipi; panose-1:2 0 5 0 2 0 0 2 0 4; mso-font-charset:0; mso-generic-font-family:auto; mso-font-pitch:variable; mso-font-signature:-2147385341 0 0 0 1 0;} @font-face {font-family:"\@SimSun"; panose-1:2 1 6 0 3 1 1 1 1 1; mso-font-charset:134; mso-generic-font-family:auto; mso-font-pitch:variable; mso-font-signature:3 135135232 16 0 262145 0;} @font-face {font-family:"Traditional Arabic"; panose-1:2 1 0 0 0 0 0 0 0 0; mso-font-alt:"Times New Roman"; mso-font-charset:178; mso-generic-font-family:auto; mso-font-pitch:variable; mso-font-signature:24577 0 0 0 64 0;} /* Style Definitions */ p.MsoNormal, li.MsoNormal, div.MsoNormal {mso-style-parent:""; margin:0in; margin-bottom:.0001pt; mso-pagination:widow-orphan; font-size:12.0pt; font-family:"Times New Roman"; mso-fareast-font-family:SimSun;} p.NormalWeb1, li.NormalWeb1, div.NormalWeb1 {mso-style-name:"Normal \(Web\)1"; mso-margin-top-alt:auto; margin-right:0in; mso-margin-bottom-alt:auto; margin-left:0in; text-align:right; line-height:160%; mso-pagination:widow-orphan; direction:rtl; unicode-bidi:embed; font-size:12.0pt; font-family:Arial; mso-fareast-font-family:SimSun; color:#2E5092;} @page Section1 {size:8.5in 11.0in; margin:1.0in 1.25in 1.0in 1.25in; mso-header-margin:.5in; mso-footer-margin:.5in; mso-paper-source:0;} div.Section1 {page:Section1;} -->
সহবাসের দোয়া ভুলে গেলে কী হয় ?
প্রশ্ন
সহবাসের পূর্বে যদি দোয়া ভুলে যাই, তাহলে শয়তান আমাদের সতর দেখে ফেলে, অথবা এ ধরণের কিছু ঘটে। এ শ্রুতি কী সঠিক ? আর আমি যদি স্ত্রীর সাথে খেলাধুলা করি এবং তার সতর দেখি, এ জন্য কী সহবাসের দোয়া বলা ওয়াযিব ?
উত্তর
আল-হামদুলিল্লাহ
প্রথমত :
যে তার স্ত্রীর সাথে সহবাসের করার ইচ্ছা পোষণ করে, তার জন্য বলা সুন্নত :
" بِسْمِ اللَّهِ ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ ، وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا"
বুখারি : (৬৩৮৮) ও মুসলিম : (১৪৩৪)
ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন :
قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ قَالَ بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا ، فَإِنَّهُ إِنْ يُقَدَّرْ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ فِي ذَلِكَ لَمْ يَضُرَّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا ).
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “যদি তোমাদের কেউ স্ত্রী সহবাসের সময় বলে بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا এবং তাদের ভাগ্যে সন্তান নির্ধারণ করা হয়, তবে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করবে না।
বুখারির বর্ণনায় রয়েছে :
( لَمْ يَضُرَّهُ الشَّيْطَانُ وَلَمْ يُسَلَّطْ عَلَيْهِ ) .
শয়তান তার ক্ষতি করবে না, এবং তার উপর শয়তানকে প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না। বুখারি : (৩২৮৩)
এ সব বর্ণনা প্রমাণ করে যে, সহবাসের সময় এ দোয়াটি পড়া সুন্নত, স্বামী-স্ত্রীর খেলাধুলার সময় নয়।
রাসূলের বাণী : ( لَمْ يَضُرَّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا ) এর বিভিন্ন অর্থ বর্ণনা করা হয়েছে।
কেউ বলেছেন : এ সন্তানটি নেককারদের অন্তর্ভুক্ত হবে, যার উপর শয়তানের কর্তৃত্ব থাকবে না।
কেউ বলেছেন : শয়তান তাকে পরাস্ত করতে পারবে না, অথবা শয়তান তাকে কুফরির মাধ্যমে গোমরাহ করতে পারবে না, অথবা তার জন্মের সময় পিতার সঙ্গী হতে পারবে না যখন সে তার মায়ের সাথে সহবাস করে।
কাজি ইয়াজ রা. বলেছেন :
( لَمْ يَضُرَّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا ) 'তাকে ক্ষতি করতে পারবে না' এর অর্থ কেউ বলেছেন : শয়তান তাকে পরাস্ত করতে পারবে না। কেউ বলেছেন : জন্মের সময়, অন্যান্য সন্তানের বিপরীতে, শয়তান তাকে খোঁচা দেবে না। তিনি বলেন : তবে সকল ক্ষতি, শয়তানি ওয়াসওয়াসা ও পথভ্রষ্টতা থেকে সে সুরক্ষা পাবে এ অর্থ কেউ করেন নি।
ইমাম নববি 'সহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যগ্রন্থে'বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
ইবনে দাকিকুল ঈদ রা. বলেছেন :
রাসূলের বাণী : (শয়তান তাকে ক্ষতি করতে পারবে না) ব্যাপক অর্থে নেয়া যায়, তখন এর অন্তর্ভুক্ত হবে দীনি ক্ষতি। আবার শারীরিক ক্ষতির বিবেচনায় একে বিশেষ অর্থেও জ্ঞান করা যায়, তখন এর অর্থ হবে শয়তান তাকে স্পর্শ করবে না, এবং তার শরীর ও বিবেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমন কোন কর্ম করবে না। এ অভিমত বিশুদ্ধতার নিকটতর, যদিও খাস করা নীতি বিরুদ্ধ। কারণ, আমরা যদি ব্যাপকের অন্তর্ভুক্ত করি, তার অর্থ দাড়ায় : সন্তানটি মাসূম ও সকল গোনা থেকে পবিত্র হবে। আর এটা নাও হতে পারে, বা হলেও খুব কম, আবার রাসূল যে সংবাদ দিয়েছেন, তা সত্যে পরিণত হওয়াও জরুরি। আর আমরা যদি আকল ও শরীরের ক্ষতি বিবেচনা করি, তবে তা অসম্ভব নয়, এবং তার বিপরীত অর্থ প্রকাশ করার কোন দলিলও নেই।
দ্বিতীয়ত :
এ দোয়া যে পড়ে এবং পরবর্তীতে যাকে সন্তান দেয়া হয়, তার জন্য এ হাদিসে ওয়াদা রয়েছে : “শয়তান তার ক্ষতি করবে না।" তবে যে এ দোয়া পড়তে ভুলে যায়, শয়তান তার সন্তানের অবশ্যই ক্ষতি করবে, এমন কিছু এ হাদিসে নেই। বরং তা কতক মনীষী থেকে বর্ণনা করা হয়েছে।
তাই, আল্লাহ সন্তানকে শয়তান থেকে হিফাজত করবেন, এ আশায় নিয়মিত এ দোয়াটি পড়ে নেয়া জরুরি।
তৃতীয়ত :
মুসলিমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আদব হলো, পরিপূর্ণরূপে সতর ঢাকা এবং সতর হিফাজত করা, যাতে কেউ না দেখে। আর মানুষ যেহেতু কতক সময় সতর খুলতে বাধ্য হয়, যেমন পেশাব-পায়খানা, অথবা স্ত্রী সহবাস, অথবা অন্য কোন প্রয়োজনে, তখন তার জন্য বৈধ করা হয়েছে যে, সে জীনদের থেকে আড়াল হবে, যারা তাকে দেখছে। অথবা সে তার নির্দিষ্ট স্থানে আল্লাহর যিকরের মাধ্যমে প্রবেশ করবে। যেমন পূর্বের হাদিসে আল্লাহর যিকরের মাধ্যমে শয়তানের কষ্ট থেকে নিরাপত্তা অর্জন করতে বলা হয়েছে।
আলী ইবনে আবি তালিব রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত :
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( قَالَ سَتْرُ مَا بَيْنَ أَعْيُنِ الْجِنِّ وَعَوْرَاتِ بَنِي آدَمَ إِذَا دَخَلَ أَحَدُهُمْ الْخَلَاءَ أَنْ يَقُولَ بِسْمِ اللَّهِ ) رواه الترمذي (606) وصححه الألباني .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “বনি আদমের সতর ও জিনদের দৃষ্টির মাঝে পর্দা হল যখন তাদের কেউ টয়লেটে যাবে, তখন বলবে : بِسْمِ اللَّهِ
ইমাম নববি রাহিমাহুল্লাহ 'কিতাবুল আযকারে' (পৃ.২২) বলেছেন : باب ما يقول إذا خلع ثوبه لغسل أو نوم أو نحوهما তাতে তিনি এ হাদিস উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ ভাল জানেন।