মোবাইল: ব্যবহারপদ্ধতি ও বিধান
ক্যাটাগরিসমূহ
উৎস
Full Description
মোবাইল : ব্যবহার পদ্ধতি এবং বিধান
[ বাংলা – Bengali – بنغالي ]
আলী হাসান তৈয়ব
সম্পাদনা : ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
2011 - 1432
﴿ الجوال: آداب وأحكام﴾
« باللغة البنغالية »
علي حسن طيب
مراجعة: الدكتور محمد منظور إلهي
2011 - 1432
মোবাইল : ব্যবহার পদ্ধতি এবং বিধান
কম্পিউটারের মত মোবাইল এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। এর ভূমিকায় ক্রমশ বদলে যাচ্ছে পৃথিবী। ব্যাপক পরিবর্তন এসছে মানুষের চলনে ও বলনে এবং আচার ও মননে। মোবাইল আমাদের জীবন চলার পথ মসৃণ করেছে। বিশ্বায়নের এ যুগে মোবাইলের বদান্যতায় দুনিয়া মানুষের হাতের মুঠোয় এসে পড়েছে। অত্যাধুনিক নানা প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে নিত্য-নতুন মোবাইল বাজারে আসছে। সম্প্রতি ইন্টারনেট প্রযুক্তিও যুক্ত হয়েছে এ মোবাইলে। কম্পিউটার, টিভি, ভিসিডি- সব কিছুর কাজই করছে মোবাইল। ওসব কিনতে যে বড় অংকের টাকা লাগে সে তুলনায় মোবাইলের দাম একেবারে হাতের নাগালে। তাই মিডিয়া আগ্রাসনের সুলভ এক আখড়ায় পরিণত হয়েছে মোবাইল। এর উপকারিতার সাথে সাথে ততোধিক হারে বেড়েছে এর নেতিবাচক ব্যবহার।
মোবাইল আমাদেরকে কী দিয়েছে :
যোগাযোগের ক্ষেত্রে অকল্পনীয় উন্নতি ও অভূতপূর্ব অগ্রগতি আনয়নই মোবাইলের সবচে’ বড় অবদান। তাই এটি বর্তমানকালের একটি অতি প্রয়োজনীয় নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রীতে পরিণত হয়েছে। যে তথ্যের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা, লম্বা সফর, অধিক শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হতো, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই দু’ চার টাকা খরচায় আজ তা অর্জন সম্ভব হচ্ছে। হাজার মাইলের দূরত্ব মুহূর্তে ঘুচিয়ে দিচ্ছে এ মোবাইল। মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা যোগ হওয়ায় এর কার্যকারিতা ও সেবা পরিধিও বিস্তৃত হয়েছে বহুগুণে। ইন্টারনেটের যাবতীয় সেবা পাওয়া যাচ্ছে এখন মোবাইলে। মোবাইলের অবদান যদি এ পর্যন্ত সীমিত থাকতো, তবে আজ এ লেখার প্রয়োজন হতো না। সত্যি বলতে কি, দুষ্টের দমনে যেমন, লালনেও তেমন ব্যবহৃত হচ্ছে আজ এ আধুনিক প্রযুক্তি। আজ এই মোবাইল নামক ক্ষুদে যন্ত্রটি সুকর্মে-অপকর্মে, মন্দ রোধে-বিস্তারে সমভাবে অবদান রেখে চলেছে, যা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হলে, আমাদেরকে চরম মাশুল দিতে হবে। চলুন নিচে এর কয়েকটি নেতিবাচক দিক তুলে ধরা যাক
১। অবৈধ সম্পর্কের অবাধ বিস্তার :
মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি উপকৃত (?) হচ্ছে তরুণ-তরুণীরা। এর বদৌলতে অবৈধ প্রেম ও মেকি ভালোবাসার প্রসাদ পুরো যুব প্রজন্মের জন্য অবারিত হয়ে পড়েছে। পারিবারিক শাসনের কারণে যারা এতদিন প্রেম বা ভালোবাসার মহার্ঘ ছুঁয়ে দেখতে পারেননি, তারাও আজ তা অনায়াসে ছুঁয়ে দেখতে পারছেন। মোবাইলের যে কোনো দোকানে গিয়ে রাত ৮টার পর দাঁড়াবেন, দেখবেন অবৈধ সম্পর্কের তোড়ে ভেসে যাওয়া তরুণ-তরুণীরা গ্লাসের আড়ালে কিংবা দোকানের বাইরে এক ঘন্টা, দুই ঘন্টা ধরে নিচু স্বরে কথা বলে যাচ্ছে। অনেক পরিচিত দোকানদার গল্পচ্ছলে এ কথা স্বীকার করেছেন যে, এই তরুণ- তরুণীদের গল্প-প্রেমালাপের বিলেই ওদের দোকান টিকে আছে।
অবশ্য দোকানে গিয়ে কথা বলার এখন প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে। এখন যে যুবক টাকার অভাবে ভালোমত লেখাপড়া করতে পারে না, সেও টিউশনি করে মোবাইলের গর্বিত সত্ত্বাধিকারী হয়েছে। একটু ঝড়-বৃষ্টিতেই যারা নীড়হারা হয়ে পড়ে দিব্যি তাদেরও দেখা যায় পথ চলতে গিয়ে নিজের মোবাইল সেটে সজোরে লেটেস্ট গান শুনছে। স্বল্প মূল্যের চায়না সেটগুলোর প্রতিটিতে মাল্টিমিডিয়া সুবিধাগুলো অবারিত করে দেয়ায় এমনটি ঘটতে পারছে।
আমার এক বাল্যবন্ধুর বোন, যারা এতটা রক্ষণশীল ও ধার্মিক যে, তাদের পরিবারের কোনো মেয়ের চেহারা কখনো কোনো গাইরে মাহরাম পুরুষ দেখেনি। এ ক্ষুদ্র মোবাইল যন্ত্রটি ওই বোনকেও ধোঁকায় ফেলেছিল। যে ছেলেটি ওর সঙ্গে গোপনে মোবাইলে কথা বলতো, সে আমার সঙ্গে ই‘তিকাফে থাকাকালে ধরা পড়ে যায় এবং তাওবা করে। এ ঘটনা যখনই মনে উদয় হয়, মোবাইল ব্যবহারের নেতিবাচক দিক ভেবে আমি শিউরে উঠি।
২। পারিবারিক অশান্তি :
অনেক শান্তিপূর্ণ ও সুখময় দাম্পত্য জীবনে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে এ মোবাইল। আমার জানার গণ্ডির মধ্যেই এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যে, স্বামীর প্রবাসে বা কর্মস্থলে অবস্থানের সুযোগে বাড়ির মোবাইলে অনেক বিবাহিতা নারী পরপুরুষের সাথে প্রেমে বা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন। অনেক ক্ষেত্রে যা দাম্পত্য কলহ এমন কি বিবাহ বিচ্ছেদেরও কারণ হচ্ছে। আবার অনেক পরিবারে বিবাহিত পুরুষ পরনারীর সাথে মোবাইলে খোশালাপ- প্রেমালাপ করেন। ব্যস, শুরু হল সন্দেহ, অবিশ্বাস ও কলহ। যা বিবাহিত জীবনে ক্যান্সারের মতো এক মারাত্মক ব্যধির রূপ পরিগ্রহ করে। অহরহ আমাদের আশেপাশে এমন ঘটনা ঘটছে।
৩। অপরাধের বিস্তার :
সমাজে যারা আঁধার জগতের বাসিন্দা, ক্রাইম জগতেই যাদের সতত বিচরণ, যারা অনৈতিক, অসামাজিক কাজে অহরহই জড়িত হন, মোবাইল তাদের জন্য এক মোক্ষম হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। পত্রিকায় প্রতিদিনই খবর আসছে মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীরা কি করে নিজেদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। গ্রেফতারি পরোয়ানায় থাকা অপরাধী যেমন মোবাইলের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে মুহূর্তেই নিজেকে আড়াল করতে পারছে, তেমনি কারাগারে বন্দি অনেক দাগী অপরাধী জেলে বসেই তাদের চাঁদাবাজি ও অপরাধ কর্ম চালিয়ে নিতে পারছে তাদের অনুচর বা অধিনস্তদের মাধ্যমে। এছাড়াও মোবাইলের মাধ্যমে মানুষকে হুমকি-ধমকি দেয়ার ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার ইদানিং মোবাইলের ফ্লেক্সি লোডের সাহায্যে চাঁদাবাজির ঘটনাও পত্রিকায় বেরিয়েছে।
৪। অশ্লীলতার বিস্তার :
সেদিন আমার পরিচিত এক যুবক এসে বলল, আমার মোবাইলের স্ক্রিনে তাকান। তারপর যা ভেসে উঠল তাকে শুধু অশ্লীল ছবি বললে হয় না, পর্নো বলতে হয়। চটজলদি চোখ ফিরিয়ে বললাম, এ আপনি কোথায় পেলেন? বলল, আমার এক বন্ধু তার মোবাইল থেকে এ মোবাইলে ছবিগুলো ঢুকিয়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য, এ যুবকটি খুবই ধার্মিক। সে এমন ছবি ইতিপূর্বে দেখেছে কি-না সন্দেহ। একমাত্র মোবাইলের কৃপায় সে অশ্লীল ছবি মোবাইলে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। যেসব মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা আছে, সেসবের কথা বলাইবাহুল্য। ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল ও সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে যাদের ন্যূনতম ধারণা আছে, তারা জেনে থাকবেন এ দু’টোতে অশ্লীলতা চরিত্র বিধ্বংসী কত কিছুই না সহজলোভ্য।
৫। গান-বাদ্যের বিস্তার :
রিংটোন মোবাইলের অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, মোবাইলে লোড করা অধিকাংশ রিংটোনই বাংলা, ইংরেজি বা হিন্দি গানের মিউজিক হয়ে থাকে। আর ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেমের মোবাইলের তো কথাই নেই। যেন পুরোপুরি গানের টেপ রেকর্ডার বা অডিও-ভিডিও প্লেয়ার। অথচ গান-বাদ্যে অংশগ্রহণ করা বা শোনা উভয়ই গুনাহর কাজ। অশ্লীল গান তো আরো মারাত্মক পাপের বিষয়। অধুনা কোনো মোবাইল অপারেটর গান-বাদ্যের এ পাপকে আরো বেশি অপরিহার্য করে তুলেছে। ওয়েলকাম টিউন এর নামে আউটগোয়িংয়ে বাধ্যতামূলকভাবে সরাসরি গান-বাদ্য শোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তেমনি অনেক মোবাইলে এমন সিস্টেম করা আছে যে, সেখান থেকে পাঠানো কল (ইনকামিং) রিসিভ করা মাত্র কয়েক সেকেন্ড গান-শুনানো হয়, এরপর কথা বলা হয়। অনুরূপভাবে একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির অফিসে কোনো তথ্যের জন্য ফোন করলেই প্রথমে অর্ধ মিনিট বাদ্য-বাজনা শুনিয়ে দেয়া হয়। যারা কোনোদিন স্বেচ্ছায় গান-বাজনা শুনেন নি এবং নিজের ধার্মিকতাকে রক্ষা করেছেন, তারাও এ পর্যায়ে মোবাইলে গান বা মিউজিক শুনতে একরকম বাধ্যই হন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আল্লাহর পবিত্র ঘর মসজিদে পর্যন্ত গানের রিংটোন বেজে উঠে। মোবাইল বন্ধ না করে সালাত শুরু করলে, কল এসে পড়লে গানের আওয়াজ শুধু এর বাহকের নয়; সমবেত সকল মুসল্লীর সালাতে ব্যঘাত ঘটায়। সালাতে মনোসংযোগে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
অন্য আরো কিছু নেতিবাচক ব্যবহারের দিক :
এছাড়া মোবাইলের আরো অনেক নেতিবাচক ব্যবহারের শিকার হচ্ছি প্রায়শই। এর মধ্যে রয়েছে মোবাইলে ক্যামেরা ও ভিডিওর নাজায়িয ব্যবহার, গেম খেলে সময়ের অপচয়, সময়ে অসময়ে পরিচিত-অপরিচিতকে বারবার মিস কল দিয়ে কষ্ট দেয়া ইত্যাদি। পাঠক-পাঠিকাগণ হয়তো এসব পড়ে আমাকে মোবাইল বা প্রযুক্তি বিদ্বেষী ভাবতে পারেন। বাস্তবে আমরা তা নই। আমরা অবশ্যই মোবাইলসহ সব ধরনের প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রাপ্তির দাবীদার। আমরা এসবের সাফল্যের গুণগ্রাহী। তবে এসব প্রযুক্তির উপহার জাতির কল্যাণের জন্যই নিবেদিত হোক এবং এসবের অপব্যবহার রোধ হোক- সেটাই কামনা। সেই লক্ষ্যে মোবাইলের অনাকাঙ্ক্ষিত নেতি ও অপব্যবহার থেকে নিজে বাঁচাতে এবং অপরকে বাঁচাতে নিম্ন বর্ণিত পদক্ষেপগুলো আমরা গ্রহণ করতে পারি :
১। অবৈধ সম্পর্ক রোধে :
(ক) যুব শ্রেণীর মাঝে আল্লাহর ভয় ও আখিরাতের ফিকির সৃষ্টি করতে হবে। (খ) অভিভাবকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে সন্তানের প্রতি নজরদারী বাড়াতে হবে। (গ) ফোন দোকানীরা (যাদের ফোনে প্রেমালাপ করে) অভিভাবকদের অবহিত করবেন (যদিও তাতে ব্যবসায়িক লাভ কিছুটা ব্যাহত হয়)। (ঘ) ছেলে বা মেয়ের আবদারের কাছে আত্মসমর্পণ করে চরিত্র ধ্বংসের এ হাতিয়ার অযথা তাদের হাতে তুলে দেবেন না।
২। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসা অম্লান রাখতে :
(ক) স্বামী-স্ত্রীকে পরস্পরের প্রতি বেশি ভালোবাসাপরায়ণ হতে হবে। (খ) ধর্মীয় দায়িত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে দ্বিতীয় কোনো পুরুষ বা নারীর মায়াজালে আবদ্ধ হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ইসলামের পর্দা ব্যবস্থা খুবই ফলপ্রসূ। তা পুরোপুরি মেনে চলতে হবে। (গ) অল্প বয়সী তরুণ-তরুণীরা পার্সোনাল মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ সীমিত করতে পারলে ভালো হয়।
৩। সমাজের অবক্ষয় ও অপরাধ রোধে :
(ক) আড়িপাতা আইন কড়াকড়িভাবে প্রয়োগ করা দরকার। বাংলাদেশ, আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশে আড়িপাতা আইন নিয়ে অনেক বিতর্ক বা ভিন্ন মত রয়েছে। এক্ষেত্রে বলতে চাই, মানুষের প্রাইভেসি নষ্ট হয়ে যাবে এ যুক্তির চেয়ে অসৎ লোকদের প্রাইভেসি নিয়ে বেশি চিন্তা করা উচিত। (খ) মোবাইল ফোন সংযোগ ক্রয়-বিক্রয় ও হস্তান্তরের প্রশ্নে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি ও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৪। গান-বাদ্য, ফটো প্রভৃতি পাপকর্ম রোধে :
(ক) মোবাইল কোম্পানিকে ইসলামসম্মত জায়িয রিংটোনের সহজ ব্যবস্থা করতে হবে এবং নাজায়িয গান-বাদ্যের রিংটোনের ব্যবহার থেকে মুসলমানদেরকে হিফাযতের ব্যবস্থা নিতে হবে। (খ) অশ্লীল ও নাজায়িয সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করতে হবে। (গ) ব্যক্তি পর্যায়ে আল্লাহভীতি ও তাকওয়ার চর্চা বাড়াতে হবে। (ঘ) মসজিদের ইমাম ও খতীব সাহেবান এ ব্যাপারে মুসল্লীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।
মোবাইল ব্যাবহারকারীদের প্রতি সর্বশেষ জরুরী কথা
(ক) মোবাইলে কথা শুরু করার সূচনা ও সমাপ্তিতে বিশুদ্ধভাবে সালাম দিন। ও পাশ থেকে আপনার আগে সালাম দিলে, শুদ্ধভাবে সালামের জবাব দিন। (খ) অযথা মিস কল দেয়া থেকে বিরত থাকুন। বারবার মিসকল দিয়ে অযথা কাউকে কষ্ট দেয়া গুনাহর কাজ। (গ) দু’একবার রিং করার পর রিসিভ না করলে, অপর পক্ষ সালাত, ঘুম বা অন্য কোনো জরুরী কাজে আছেন ভেবে আপাতত বিরত থাকুন। প্রয়োজনে পরে আবার কল করুন। (ঘ) পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের জামা‘আতের সময় দীনদার ও নামাযী লোকদের পারতপক্ষে কল করবেন না। (ঙ) গভীর রাতে একান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ফোন করে অন্যের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবেন না। (চ) ফোনে যাতে কখনো কোনো নাজায়িয বিষয়ের অবতারণা না হয়, সে ব্যাপারে সব সময় সাবধান থাকুন।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে সকল অপকারী আচরণ ও সামগ্রী থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দিন। প্রয়োজনীয় সব কিছুর ইতিবাচক ও উপকারী ব্যবহার সহজ করে দিন। আমীন।