×
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল: আমার পিতা মারা গেছেন। অসুস্থতার কারণে গত বছর তিনি রমজানের দু’টি রোজা পালন করতে পারেননি। তিনি মারা গেছেন শাউয়ালে। আমাদেরকে বলেছেন, তিনি এ দু’দিনের পরিবর্তে খাদ্য দান করবেন। তার ব্যাপারে এখন আমাদের করণীয় কি ? আমরা কি তার পক্ষ থেকে রোজা রাখব ও খাদ্য দান করব, অথবা শুধু খাদ্য দান করলেই চলবে ? উলে¬¬খ্য যে আমাদের জানা নেই, তিনি খাদ্য দান কিংবা রোজা পালন করেছেন কি না। তিনি ডায়াবেটিস আক্রান্ত ছিলেন, তবুও রমজানের সিয়াম পালন করতেন।

    অসুস্থতার কারণে মৃত ব্যক্তির ওপর রমযানের দু'টি সাওম কাযা রয়েছে, এখন তার সন্তানদের করণীয় কী?

    توفي وعليه يومان من رمضان بسبب المرض فماذا يلزم أولاده؟

    < بنغالي- Bengal - বাঙালি>

    ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি

    اللجنة الدائمة للبحوث العلمية والإفتاء

    —™

    অনুবাদক: সানাউল্লাহ নজির আহমদ

    সম্পাদক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    ترجمة: ثناء الله نذير أحمد

    مراجعة: د/ أبو بكر محمد زكريا

    অসুস্থতার কারণে মৃত ব্যক্তির ওপর রমযানের দু'টি সাওম কাযা রয়েছে, এখন তার সন্তানদের করণীয় কী?

    প্রশ্ন: আমার পিতা মারা গেছেন। অসুস্থতার কারণে গত বছর তিনি রমযানের দু'টি সাওম পালন করতে পারেন নি। তিনি মারা গেছেন শাউয়ালে। আমাদেরকে বলেছেন, তিনি এ দু'দিনের পরিবর্তে খাদ্য দান করবেন। তার ব্যাপারে এখন আমাদের করণীয় কী? আমরা কি তার পক্ষ থেকে সাওম পালন করব ও খাদ্য দান করব, নাকি শুধু খাদ্য দান করলেই চলবে? উলে­­খ্য যে আমাদের জানা নেই, তিনি খাদ্য দান কিংবা সাওম পালন করেছেন কিনা? তিনি ডায়াবেটিস আক্রান্ত ছিলেন, তবুও রমযানের সিয়াম পালন করতেন।

    উত্তর: আল-হামদুলিল্লাহ

    তোমাদের পিতা যেহেতু রমযানের কাযার ওপর সক্ষম ছিল; কিন্তু অলসতা করেছে, ফলে পরবর্তী রমযান চলে আসে, যার পর সে মারা যায়। অতঃপর উত্তম হচ্ছে, তোমাদের কেউ তার পক্ষ থেকে দু'দিনের কাযা করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

    «مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صِيَامٌ صَامَ عَنْهُ وَلِيُّهُ».

    “মৃত ব্যক্তির ওপর রমযানের কাযা থাকলে, তার অভিভাবক তার পক্ষ থেকে সিয়াম পালন করবে"(সহীহ বুখারী ও মুসলিম) আর যদি তোমরা তার পক্ষ থেকে দেশীয় এক 'সা' খাদ্য দান কর, যা তিন কেজি পরিমাণ, তবুও যথেষ্ট হবে। আর যদি সে রমযানের পূর্বেই মারা গিয়ে থাকে এবং অসুস্থতার কারণে কাযা আদায় করতে সক্ষম না হয় তবে তার ওপর কিছুই ওয়াজিব হবে না। কারণ, তার পক্ষ থেকে কোনো সীমালঙ্ঘন পাওয়া যায় নি। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

    সূত্র:

    اللجنة الدائمة للبحوث العلمية والإفتاء

    শাইখ আব্দুল আযীয ইবন বায

    শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন গুদাইয়ান

    শাইখ সালেহ আল-ফাওযান

    শাইখ আব্দুল আযীয আলে-শায়খ

    শাইখ আবু বকর আবু যায়েদ

    ফতোয়া লাজনায়ে দায়েমা: দ্বিতীয় ভলিউম: (৯/২৬১)