×
1. তাকওয়া ও ইবাদাত চর্চার এক রূপময় কর্মশালা এবং শির্ক, কুফর ও বিদ‘আতমুক্ত হয়ে ঈমানের অনুপম মাহত্ম্য অর্জনের এক সমৃদ্ধ পাঠশালা। হজের মধ্যে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখিরাতের নানাবিধ কল্যাণের বিপুল সমারোহ ঘটিয়েছেন বলেই সেসব কল্যাণ অর্জনকে তিনি হজের লক্ষ্যমাত্রা ও মূলমর্ম হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। আলোচক “হজ শিক্ষা পর্ব ১” শীর্ষক ভিডিও লেকচারটিতে হজের মূল শিক্ষার কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন: যেমন, তালবয়িার মহান ধ্বনি, ইখলাস ও ঐকান্তকিতা, তাওয়াফের পর দু’রাকাত সালাত, সাফা-মারওয়ায় সা‘ঈ করার দো‘আ, আরাফার দো‘আ, হাজারে আসওয়াদ চুম্বন, জামরাতুল আকাবায় কঙ্কর নিক্ষেপের র্পূব র্পযন্ত তালবয়িা পাঠ করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেছেন ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী। 2. হজের শিক্ষার মধ্যে যে বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ তা হলো হজের নানা প্রকার আমল এখলাসের সহিত সম্পন্ন করা। হজের মূল শিক্ষা হলো তাওহীদ তথা একত্ববাদের চর্চা ও প্রতিষ্ঠা করা। সম্মানিত আলোচক উল্লেখ করেন যে, হজে ইবাদাত পালনে ইখলাস ও ঐকান্তিক নিষ্ঠা যেন অর্জিত হয় এবং রিয়া ও প্রদর্শনেচ্ছা থেকে যেন দূরে থাকা যায় সে জন্য মহান রবের দরবারে আকুতি-মিনতি তাওহীদমুখিতারই বহিঃপ্রকাশ। তাছাড়া হজের স্থান কা‘বা, সাফা-মারওয়া ও মিনা থেকে আমরা যেসব শিক্ষা লাভ করতে পারি তা উক্ত “হজ শিক্ষা পর্ব ২” শীর্ষক অডিও লেকচারটিতে আলোচনা করা হয়েছে। 3. “হজ শিক্ষা পর্ব ৩” শীর্ষক অডিও লেকচারটিতে, হজের মধ্যে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখিরাতের নানাবিধ কল্যাণ অর্জনকে হজের লক্ষ্যমাত্রা ও মূলমর্ম বলে উল্লেখ করেন সম্মানিত আলোচক ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী। আলোচক আরো উল্লেখ করেন যে, হজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল স্থান ও কালকে সম্মান করা, হজের মাধ্যমে পরকালকে স্মরণ করা, কিয়ামতকে স্মরণ করা, আর হজের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো হজের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন নিশ্চিত করা এবং হজের মাধ্যমে আমরা যেন পরকালের মুক্তির দিশা লাভ করতে পারি সেদিকে পূর্ণ দৃষ্টি রাখা।