رسالة إلى الأخوات
أعرض المحتوى باللغة الأصلية
رسالة إلى الأخوات: في هذه المقالة نداءٌ حارٌّ إلى الأخوات للنظر في قضية الحجاب بجدية وبقلب منشرِح، وقد طرَحَت عدة دلائل عقلية فضلاً عن الشرعية لكي تقوم الحُجَّة على من لا يقبلنَ إلا بالحُجَج العقلية.
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
নারীদের প্রতি খোলা চিঠি
[বাংলা - bengali - البنغالية]
লেখক: আলী হাসান তৈয়ব
সম্পাদনা: ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
2011 - 1432
﴿ رسالة إلى الأخوات ﴾
« باللغة البنغالية »
علي حسن طيب
مراجعة: الدكتور محمد منظور إلهي
2011 - 1432
নারীদের প্রতি খোলা চিঠি
আলী হাসান তৈয়ব
প্রিয় বোন, বিশ্বাস কর তোমার সমালোচনা করা আমার অভিপ্রায় নয়। তোমাকে মন্দ ঠাওরানোতেও কোনো লাভ নেই আমার। ধর্ম চর্চা কর বা না কর, পর্দা মেনে চল বা না চল এমনকি আমাকে ভালো জ্ঞান কর বা মন্দÑ তুমিও আমার বোন। গোড়ায় আমাদের বাবা-মা অভিন্ন। যে দেশ বা যে ধর্মেরই হও না কেন আদি পিতার এ সম্পর্ক নস্যাৎ করে সাধ্য কার ? প্লিজ, আমার কথাগুলোর ওপর একবার চোখ বুলাও। একটুখানি ভেবে দেখ খোলা মনে।
তুমি ভাবছো, পৃথিবী আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সাফল্য ও সমৃদ্ধির শীর্ষ চূড়ায় উপনীত হয়েছে। ধুলির ধরা ছাড়িয়ে মানুষ এখন পৌঁছে গেছে নানা গ্রহে-উপগ্রহে। সারা বিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। সুতরাং এখন পর্দা করা মানে মধ্যযুগে ফিরে যাওয়া। পর্দা করা মানে নিজেকে বঞ্চিত করা। আমাদের মুক্তি নারী স্বাধীনতায়। মুক্তি ইসলাম উপেক্ষায়।
ইতিহাস পড়ে দেখ, ইসলামই সর্বপ্রথম নারীকে মুক্তি দিয়েছে। নারীকে ভোগের পণ্য হতে দেয়নি শান্তির ধর্ম ইসলাম। একমাত্র ইসলামই কন্যা সন্তান প্রতিপালনের পুরস্কার ঘোষণা করেছে জান্নাত। ইসলামই পুরুষের চারিত্রিক শুচিতা যাচাইয়ে স্ত্রীর সাফাইয়ের কথা বলেছে। ইসলামে কোনো সুযোগ রাখা হয় নি মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে বউ নিয়ে সুখে থাকার অথবা জন্মের পর থেকে নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত কোনো পর্বে মাকে অবমূল্যায়ন করার। স্ত্রী, কন্যা ও মাতাÑ নারী জীবন তো এর বাইরে নয়। এ ক্ষেত্রত্রয়ের কোনোটিতেই ইসলামের চেয়ে বেশি দিতে পারেনি কোনো ধর্ম বা কোনো জাতি।
আমার ভার্সিটি পড়–য়া বোন, তুমি পাশ্চাত্যের মেকি স্বাধীনতায় প্রবঞ্চিত হয়ো না। স্যাটেলাইট চ্যালেনগুলোর হৃদয়কাড়া চিত্র দেখে ধোঁকায় পড়ো না। নাটক-সিনেমা আর ইউরোপ-আমেরিকার সুখের ছবি দেখে নিজেকে হতভাগী ভেবো না। পশ্চিমা সমাজের একটু ভেতরের খবর নিলেই জানতে পারবে বাস্তব অবস্থা।
যারা নিয়মিত খবরের কাগজ পড়েন তাদের জিজ্ঞেস করে দেখ- প্রায়ই পত্রিকায় সংবাদ আসছে পশ্চিমা তরুণীরা তথাকথিত স্বাধীনতার শেকলে (!) হাঁফিয়ে উঠেছে। তাদের মধ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি। Daughter of another নামক একটি বইয়ে[1] চল্লিশজন মার্কিন তরুণীর (কথিত নারী স্বাধীনতা পরিহার করে) পর্দার ধর্ম ইসলাম গ্রহণের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। তারা সবাই নারী স্বাধীনতার স্বরূপ প্রত্যক্ষ করেছেন। এ স্বাধীনতাকে তারা কৃত্তিম ও প্রপঞ্চ এবং ইসলামের পর্দা বিধানকে মুক্তি ও সুরক্ষা বলে আখ্যায়িত করেছেন। বৃটেনের সান ডে এক্সপ্রেস পত্রিকার মহিলা সাংবাদিক রিডলি- যিনি আফগানিস্তানে তালেবানদের বোরখা নিয়ে বাড়াবাড়ির কঠোর সমালোচক ছিলেন। তিনিই কিন্তু পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে ইসলামের পর্দার ছায়াকে শান্তির ঠিকানা বানিয়ে নেন। নারী স্বাধীনতার নামে যৌন স্বাধীনতার দাবিদার তসলিমা নাসরিন যে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সে ভারতে তারই মত খোলামেলা লেখালেখির জন্য আলোচিত মালায়লম ও ইংরেজি ভাষার লেখিকা কমলা দাস এখন ইসলাম গ্রহণ করে পর্দা করছেন। এমন নজির একটি দু’টি নয় অনেক। এদের সবাই সুশিক্ষিতা। এরা কেউ আবেগের বশে বা চাপে পড়ে ইসলাম কবুল করেন নি।
উচ্চাভিলাষী বোন আমার, ইসলামের সীমানায় থেকে তুমি সবই করতে পার। যদি পড়তে চাও তবে যত ইচ্ছে পড়তে পার। ব্যবসা, চাকুরি কিংবা যা ইচ্ছে তা-ই করতে পার। শুধু পর্দা লঙ্ঘন করো না। শরিয়তের গণ্ডি অতিক্রম করো না। মনে রেখো, ইসলাম তোমার অগ্রযাত্রায় বাধা নয়। পর্দাও অন্তরায় নয় প্রগতির পথে। ইসলাম চায় তুমি যেখানেই থাক তোমার সতীত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব এবং সম্মান রক্ষা হোক। তোমার কোমলতা, সৌন্দর্য এবং ভদ্রতা বজায় থাকুক। ইসলাম তোমাকে বন্দি করতে ইচ্ছুক নয়। কোনো চরিত্রহীন যেন তোমাকে কলংকিত না করতে পারে, ছলে-বলে-কৌশলে তথা কোনোভাবেই তোমাকে অপমানিত না করতে পারেÑ এই ইসলামের অন্বেষা।
আমার স্কুল-কলেজগামী বোন, বখাটেদের ইভটিজিং থেকে বাঁচতে চাও? এসো পর্দার আশ্রয়ে। অমানুষদের এসিড সন্ত্রাস থেকে বাঁচতে চাইলেও এসো পর্দার নিরাপত্তায়। যৌতুক তোমাকে দিতে হবে না বরং নগদ মোহরানা দিয়ে তোমাকে নিয়ে যেতে বাধ্য হবে যদি তুমি হিজাবে সুশোভিত হও। এ আমার দাবি নয়; বাস্তবতা। পরিসংখ্যান দেখলেই জানতে পারবে পর্দানশীনদের অল্পজনই এসব অমানবিকতার স্বীকার হয়।
বোন, আধুনিকতার নামে তুমি নিজেকে অসম্মান ও অনিরাপদ করো না। হেদায়েতের আলো বঞ্চিতদের প্রচার-প্রপাগাণ্ডায় বিভ্রান্ত হয়ো না। ওরা বুঝাতে চায়, সভ্যতা ও বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উৎকর্ষের এই যুগে আবার ধর্ম কেনো? সভ্যতাগর্বী এসব মানুষের অপপ্রচারে তুমি প্রভাবিত হয়ো না। ওরা জানে না এর আগেও পৃথিবীতে তাদের মত সভ্যতাগর্বী জাতি ছিল। তারা আজ কোথায়? বল, সপ্তমাশ্চর্যের তাজ মহল এবং পিরামিড যারা গড়েছে তাদের কেউ কি পৃথিবীতে বেঁচে আছে? দয়াময় আল্লাহ কত সুন্দর করে ইরশাদ করেছেনÑ
أَفَلَمْ يَسِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَيَنْظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ كَانُوا أَكْثَرَ مِنْهُمْ وَأَشَدَّ قُوَّةً وَآَثَارًا فِي الْأَرْضِ فَمَا أَغْنَى عَنْهُمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ (82)
‘তারা কি পৃথিবী ভ্রমণ করে নি, তাহলে তারা দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল? তারা পৃথিবীতে ছিল তাদের চেয়ে সংখ্যায় অধিক। আর শক্তিতে ও কীর্তিতে তাদের চেয়ে অধিক প্রবল। অতপর তারা যা অর্জন করত তা তাদের কাজে আসে নি।’[2]
আমার প্রিয় বোন, রূপ বা তারুণ্যের জোয়ারে ভেসে যেও না। দেহের শক্তি ও সৌন্দর্যের কোনো স্থায়ীত্ব নেই। তিনি চাইলে যে কোনো সময় তা কেড়ে নিতে পারেন। দেখ কত সুন্দরী রোগ বা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে চিরবিদায় নেয়। কতজন না মরে পঙ্গুত্ব বা অন্ধত্বের অভিশাপ নিয়ে বেঁচে থাকে। তুমি যে এর অসহায় শিকারে পরিণত হবে না তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? পৃথিবীতে কত সুন্দরীই তো ইতিহাস হয়ে আছে; কিন্তু তারা কি কেউ মৃত্যুর দংশন থেকে বাঁচতে পেরেছে? হৃদয়কাড়া চেহারা দেখিয়ে অহংকারের সঙ্গে পথ চলো না। জগত অধিপতির ভাষায় :
وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا إِنَّكَ لَنْ تَخْرِقَ الْأَرْضَ وَلَنْ تَبْلُغَ الْجِبَالَ طُولًا (37)
‘তোমরা ভূ-পৃষ্ঠে বড়াই করে চলো না; তুমি তো কখনো ভূমিতে ফাটল ধরাতে পারবে না এবং কখনো পাহাড় সমান উচ্চতায় পৌঁছতেও পারবে না।[3]
প্রাণপ্রিয় বোন, তুমি কি জান বেপর্দার কুফল কি? পর্দার প্রতি যত অবহেলা করা হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতা ততই বাড়ছে। জাতি হিসেবে আজ আমরা আগের চেয়ে বেশি শিক্ষিত। কিন্তু বল, নারীদের প্রতি সামাজিক অনাচার বেড়েছে না কমেছে? নিত্য-নতুন পন্থায় নারীদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। এই পর্দা লঙ্ঘনই কিন্তু অবৈধ যৌন সম্পর্কের প্রথম ধাপ আর নারী-পুরুষের অবৈধ মেলামেশাই যে নিশ্চিত মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে এইডস্-এর মতো নানা রোগ ডেকে আনে, তা তো আজ অমুসলিমরাও স্বীকার করছে।
প্রিয় অমুসলিম বোনরা আমার, আপনারাই পড়ে দেখুন সুরাইয়া দাসের মতো একজন স্বাধীনচেতা, প্রগতিবাদী ও প্রখ্যাত ইংরেজি ভাষার কবি ব্যক্তি পর্দা সম্পর্কে কী বলেছেন। ১৯৯৯ সালের ১২ ডিসেম্বর কেরালার কোচিন শহরে এক সাহিত্য সম্মেলনে তিনি ভাষণ দেন। সে সম্মেলনে ভারতের বহুসংখ্যক রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক, কবি, পণ্ডিত গবেষক সাংবাদিকসহ বিদগ্ধ ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। ডক্টর সুরাইয়া কমলা সেখানে তাঁর ভাষণে বলেন, ‘দুনিয়ার মানুষদের আজ আমি একথা জানাতে চাই যে, আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি। ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ভ্রাতৃত্ব এবং ভালোবাসার ধর্ম। ইসলাম এক পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। আমার এই সিদ্ধান্ত কোন আবেগতাড়িত জজবাতি সিদ্ধান্ত নয়। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আমি গভীর নিষ্ঠা এবং ধৈর্যের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত পড়াশোনা করেছি। আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, অন্যান্য অনেক সৌন্দর্যের পাশাপাশি ইসলাম নারীকে আত্মরক্ষার অনুভূতি শিক্ষা দিয়েছে।
এই আত্মরক্ষার অধিকার নারীর ভীষণ প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আমি ইসলাম গ্রহণ করার কারণে অসংখ্য খোদার পরিবর্তে আমাকে এক খোদার উপাসনা করতে হবে। এখন রমযান উপাসনা করতে হবে। এখন রমযান মাস চলছে। মুসলমানদের নিকট অত্যন্ত পবিত্র এই মাস। এই মাসে আমি আমার চিত্তচেতনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছি। আমি জেনে বুঝে সজ্ঞানে সুস্থ মস্তিষ্কে ঘোষণা করছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। অতীতে আমার কোন ধর্মবিশ্বাস ছিল না। মূর্তিপূজার প্রতি বিরক্ত হয়ে আমি নাস্তিকতা গ্রহণ করেছিলাম। এখন আমি ঘোষণা করছি যে, আমি এক আল্লাহর এবাদত করবো। কোন রকম পার্থক্য না করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে আল্লাহর সকল বান্দাকে আমি ভালবাসবো।’
পরবর্তীকালে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কারো চাপের মুখে আমি ইসলাম গ্রহণ করিনি। এটা আমার স্বাধীন সিদ্ধান্ত। আমি কোন সমালোচকের সমালোচনার পরোয়া করি না। আমি আমার ঘর থেকে সকল মূর্তি অপসারণ করেছি। আজ আমার মনে হচ্ছে আমি নয়া জন্ম লাভ করেছি।’
টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৯৯৯ সালের ১৫ই ডিসেম্বর ডক্টর শুরাইয়া কমলা বলেন, ‘ইসলামী শিক্ষার মধ্যে নারীদের বোরকা আমাকে দারুণ প্রভাবিত করেছে। মুসলমান নারীগণ সাধারণ এই পোশাক পরিধান করেন। প্রকৃতপক্ষে নারীদের জন্য বোরকা এক ওয়ান্ডারফুল পোশাক। বোরকা নারীদেরকে পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি থেকে হেফাজত করে। নারীকে বিশেষ রকমের নিরাপত্তার নিয়শ্চয়তা দেয়।’
তিনি তাদের বলেন, ‘আমার সিদ্ধান্ত আপনাদের কাছে স্মিয়কর মনে হবে। কিন্তু কি করবো বলুন, তথাকথিত স্বাধীনতায় আমি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। নারীরা নগ্ন চেহারায় স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াবে এসব আমার মোটেই পছন্দ নয়। আমি চাই না কোন পুরুষ আমার প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাবে। আপনারা শুনে অবাক হবেন বিগত ২৪ বছর যাবত আমি প্রায়ই বোরকা পরিধান করে আসছি। শপিং করার সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এমনকি বিদেশে সফরের সময় আমি বোরকা পরিধান করেছি। বোরকা পরিধান করার কারণে আমি আত্মরক্ষায় এবং নিজেকে হেফাযত করার বিশেষ আনন্দ অনূভব করেছি। আমি লক্ষ্য করছি যেমন নারী পর্দা করে অন্যেরা তাদেরকে সম্মান করে। কেউ তাদেরকে অকারণে উত্যক্ত করে না।
ডক্টর সুরাইয়া আরো বলেন, ‘ইসলাম নারীকে বিভিন্নভাবে অনেক স্বাধীনতা দিয়েছে। ক্ষমতার প্রসঙ্গে বলা যায় ইসলাম নারী পুরুষের মধ্যে যে মমতার ব্যবস্থা করেছে ইতিহাসের কোন অধ্যায়ে কোন সমাজে অন্য কেউ এরকম সম অধিকার, মমতা নারীকে দেয়নি। নারীকে পুরুষের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। নারী মা, বোন স্ত্রী এবং কন্যা হিসেবে সকল সম্পর্কের ক্ষেত্রেই মর্যাদার অধিকারী। নারীকে পিতার স্বামীর এবং সন্তানের সম্পত্তির অংশীদার করা হয়েছে। ঘরোয়া জীবনে নারী স্বামীর প্রতিনিধি এবং স্বামীর সমকক্ষ। স্বামীর আনুগত্যের প্রশ্নে বলা যায়। পারিবারিক জীবনের শৃঙ্খলার জন্য স্বামীর আনুগত্য করা নারীর প্রয়োজন। এই আনুগত্য আমি দাসত্ব মনে করি না। এটা নারী স্বাধীনতার মোটেই পরিপন্থী নয়। এই রকমের আনুগত্য ব্যতীত সমাজের কোন অংশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব নয়। ইসলাম এক পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইসলাম আল্লাহর নিকট শর্তহীন আত্মসমর্পনের নাম। আল্লাহর রাসূলের শর্তহীন আনুগত্যের নাম। এই আনুগত্য এবং এই দাসত্ব সত্যিকার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করে। তা না হলে মানুষ তো পশু হয়ে যেত। যেখানে সেখানে যার তার ক্ষেতের ফসলে মুখ দিতো। মোটকথা ইসলাম একমাত্র ইসলাম নারীর মর্যাদা সমুন্নত রেখেছে। হিন্দুধর্মে নারীর মর্যাদা রক্ষার এরকম কোন ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায় না।’[4]
অতএব এসো মুক্তির পতাকাতলে। নিরাপত্তার সুরক্ষিত গণ্ডিতে। পর্দা শুধু তোমার ইহকালীন জীবনকে নিরাপদই করবে না, নিশ্চিত করবে তোমার সম্মান-সমৃদ্ধি। আখিরাতে নাজাত পাবে তুমি জাহান্নামের কল্পনাতীত শাস্তি থেকে। আর চিরশান্তির ঠিকানা জান্নাত হবে তোমার আবাস। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দিন। আমীন।
১. কয়েক বছর আগে ঢাকা থেকে ‘অন্যপথের কন্যারা’ নামে বইটির অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
২. সূরা গাফির : ৮২।
৩. সূরা আল-ইসরা : ৩৭।
৪. www.somewhereinblog.net/blog/ADITIASIMU/page/30